বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচন চলাকালীনই কলকাতা হাই কোর্টের এক রায়ে চাকরি হারিয়েছিলেন রাজ্যের প্রায় ২৬,০০০ চাকরিপ্রার্থী। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আপাতত খানিক স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন তাঁরা। হাই কোর্টের ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিলের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এর মাঝেই আরও একটি সুখবর। এবার কপাল খুলতে পারে ২৫১৩ চাকরিপ্রার্থীর।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে ২৫১৩ প্রার্থীর তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে এই মর্মে একটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে তাঁদের ভাগ্য এই মুহূর্তে শীর্ষ আদালতে ঝুলে রইল। উল্লেখ্য, প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি পাওয়ার জন্য ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ২০২২-২২ ব্যাচের ডিএলএডরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন কিনা, সেটা স্থির করবে শীর্ষ আদালত।
সেই কারণে ২০২২ সালের পরীক্ষাইয় এমন কোন কোন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছিলেন সেই বিষয়ে সকল তথ্য একটি মুখবন্ধ খামে আদালতে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এ এস বোপান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চের তরফ থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ২৩ জুলাই।
আরও পড়ুনঃ ৪০ জনই ঘুরিয়ে দেবে খেলা? SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজই বিরাট কাণ্ড ঘটাতে চলেছে CBI
উল্লেখ্য, রাজ্যে প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষকের পদে চাকরির জন্য ২০২২ সালে ১১,৭৫৮টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। এর মধ্যে ইন্টারভিউ নিয়ে ৯,৫৩৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগও করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রায় আড়াই হাজার পদ খালি থেকে জায়। এই পদগুলির জন্য প্রার্থীদের একটি লিস্ট বানিয়ে পর্ষদের তরফ থেকে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টে বুধবার জানিয়েছেন আবেদনকারীদের আইনজীবী পি এস পাটওয়ালিয়া।
এদিকে পর্ষদের তরফ থেকে সওয়াল করেন কুণাল চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এনাদের মধ্যে অনেকেরই নিয়োগের সময় ডিএলএড কোর্স সম্পন্ন হওয়ার সার্টিফিকেট ছিল না। সেই কারণে নিয়োগ রুখে দেওয় আহয়। তবে পর্ষদ কারোর চাকরি আটকানোর পক্ষপাতী বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে বলে তাঁরা জটিলতাও কাটাতে চান।
তবে আবেদনকারী প্রার্থীদের বক্তব্য, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যখন এগারো হাজারের বেশি পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল, তখন বেশিরভাগ প্রার্থীর ডিএলএড কোর্স সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। শুধু সার্টিফিকেট হাতে আসা বাকি ছিল। শুধু তাই নয়, কলকাতা হাই কোর্টের তরফ থেকে তাঁদের চাকরিতে নিয়োগের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। এদিন দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর জাস্টিস বোপান্না এবং জাস্টিস কুমারের বেঞ্চ জানায়, এবার মুখবন্ধ খামে ২৫১৩ চাকরিপ্রার্থীর নাম, ফলাফল সহ যাবতীয় তথ্য পর্ষদকে জমা করতে হবে। এরপরের শুনানিতেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেই শুনানির দিনই অই সকল প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা হবে। তাঁদের কপাল খুলবে কিনা সেদিকেই আপাতত নজর সকলের।