বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মাঝখানে কেটে গিয়েছে তিন বছর। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে উল্টে গেল পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল। রাতারাতি হেরে যাওয়া প্রার্থী মোহিত কুমার পরিণত হলেন বিজয়ীতে, আর জেতা কুলদীপ সিং হারালেন প্রধানের পদ।
মামলা থেকে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে হরিয়ানার পানিপথ জেলার বুয়ানা লাখু গ্রামে পঞ্চায়েত ভোটে হেরে যান মোহিত কুমার। ফলাফলের বিরুদ্ধে তিনি মামলা দায়ের করেন। প্রথমে নিম্ন আদালতে শুরু হয় শুনানি। চলতি বছর আদালত মোহিতের দাবি মেনে ভোট পুনর্গণনার নির্দেশ দেয়। কিন্তু এই রায় চ্যালেঞ্জ করেন জয়ী প্রার্থী কুলদীপ সিং। পঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টে যায় মামলা। হাইকোর্ট কুলদীপের পক্ষেই রায় দিয়ে নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করে। তবে এখানেই থেমে থাকেননি মোহিত। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) গিয়ে ফের লড়াই শুরু করেন তিনি।
বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি এন কটিশ্বর সিংয়ের বেঞ্চে শুরু হয় শুনানি। ৩১ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) নির্দেশ দেয়, আদালত নির্ধারিত রেজিস্ট্রারের উপস্থিতিতে ভিডিও ক্যামেরার নজরদারিতে হবে পুনর্গণনা। দুই পক্ষের প্রার্থীকেও থাকতে হবে উপস্থিত।
নির্দেশ মতো পুনর্গণনা শুরু হয়। আর তাতেই চিত্র বদলে যায়। দেখা যায়, মোহিত কুমার এগিয়ে গেছেন ৫১ ভোটে। তাঁর ঝুলিতে পড়ে ১,০৫১ ভোট। অন্যদিকে কুলদীপ সিং পান ১,০০০ ভোট। ফলে তিন বছর আগের হেরে যাওয়া প্রার্থীই আজ নতুন পঞ্চায়েত প্রধান পদে নির্বাচিত হন। ফল প্রকাশের পর পানিপথের ডেপুটি নির্বাচনী আধিকারিককে দুই দিনের মধ্যে নতুন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুনঃ “আপনার খেলা পরে হবে আগে SIR-এর খেলাটা সামলান”, স্বাধীনতা দিবসে ঘাটাল থেকে মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর
উল্লেখ্য, তিন বছর ধরে আদালতের একের পর এক ধাপ পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) হস্তক্ষেপেই বদলে গেল হরিয়ানার বুয়ানা লাখু গ্রামের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে মোহিত কুমারের হাতে পঞ্চায়েত প্রধানের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার নির্দেশে এই বিষয়টি স্পষ্ট হল যে, গণনার নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করাই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মূল ভিত্তি।