বাংলা হান্ট ডেস্ক : ঘুষের বদলে প্রশ্ন কাণ্ডের জেরে লোকসভার সাংসদ পদ খুইয়ে বসেছেন মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। ‘ইন্ডিয়া’ (INDIA Alliance) জোটের শরিকি দলের প্রতিনিধি এবং তৃণমূলের হাজার প্রচেষ্টার পরেও মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদ বাঁচানো যায়নি। লোকসভার (Lok Sabha) এথিক্স কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে খারিজ করা হয় তার সাংসদ পদ। আর তারপরেই সোজা সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মহুয়া মৈত্র।
সূত্র বলছে, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর এই মামলার শুনানির জন্য আবেদন করেছিলেন মহুয়া মৈত্র। তবে দেশের সর্বোচ্চ আদালত নাকি সাফ মানা করেছে। এরপরেই প্রাক্তন সাংসদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আবেদন করেন, এই মামলার শুনানি যাতে আগামি বৃহস্পতিবার বা শুক্রবারের মধ্যেই করা হয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট আদালত জানিয়ে দেয়, দ্রুত শুনানি সম্ভব নয়।
এইদিন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, পুরো বিষয়টি নিয়ে একটি ইমেইল করতে। তারপর এই বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হবে বলে জানিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর মহুয়া মৈত্রর আইনজীবী পৌঁছেছিলেন বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কওলের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে। সেইসময় এই বেঞ্চ থেকে বলা হয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে আবেদন করতে।
আরও পড়ুন : বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে বর্ধমান স্টেশন, জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে মৃত ৩, আহত বহু, বন্ধ ট্রেন চলাচল
এদিকে ১৫ ডিসেম্বর থেকে শীতকালীন ছুটির জন্য বন্ধ থাকবে সুপ্রিম কোর্ট। তার আগেই যাতে এই মামলার শুনানি হয়ে যায় সেটাই চেয়েছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ। তবে সেই সম্ভাবনা এখন বিশ বাঁও জলে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ এক নয়, একাধিক। এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ক্যাশ ও বহুমূল্য উপহারের বিনিময়ে সংসদে ওই ব্যবসায়ীর স্বার্থে প্রশ্ন করার অভিযোগের পাশাপাশি সংসদীয় ইমেইল অ্যাকাউন্টের বিশদ তথ্য ভাগ করার মত অভিযোগ রয়েছে মহুয়ার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন : ফের যুদ্ধ! জঙ্গি হামলায় ২৫ জনের মৃত্যুর পর রেগে লাল পাকিস্তান, তালিবানকে দিয়ে দিল বড়সড় হুমকি
গত ৮ ডিসেম্বর এই সমস্ত অভিযোগ নিয়ে লোকসভায় একটি ৫০০ পাতার খসড়া জমা দেয় এথিক্স কমিটি। এথিক্স কমিটি জানায়, সংসদীয় ইমেইল অ্যাকাউন্টের বিশদ তথ্য বাইরে পাচার করায় যে কোনও বড় বিপদ ঘটে যেতে পারত। বিশেষ করে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা ছিল। আর তাই এথিক্স কমিটির সুপারিশ ছিল, যাতে মহুয়া মৈত্রকে সংসদ ভবন থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর ধ্বনিভোটে এই সুপারিশকে মান্যতা দেওয়া হয় লোকসভায়। এবং স্পিকার ওম বিড়লা মহুয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত করে।