বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চলছে। এই প্রক্রিয়ার নাম দেওয়া হয়েছে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা সংক্ষেপে SIR। সেই কাজ চলাকালীন তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন বহু মানুষ। বিষয়টি পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। শুনানিতে আজ বিচারপতি সুর্যকান্ত জানিয়ে দেন যে, “যে কোনও নথিই নকল করা সম্ভব। তাই বলে কী আপনারা আধার বা এপিক কার্ডকে গ্রহণযোগ্য মানবেন না?”
এরপরেই আদালত (Supreme Court) প্রশ্ন তোলেন, যদি সব নথিই জাল হতে পারে, তবে আধার বা ভোটার কার্ড বাদ দিয়ে শুধু বাকি ১১টি নথি কেন গ্রহণ করা হচ্ছে? শুধু মাত্র জালিয়াতির আশঙ্কায় সবাইকে একযোগে বাদ দেওয়া উচিত নয় বলেও মত আদালতের।
খসড়া তালিকা প্রকাশে স্থগিত নয়
আদালতে মামলাকারীর তরফে আপাতত SIR তালিকার খসড়া প্রকাশ বন্ধ রাখার আবেদন করা হয়। কারণ নাম বাদ যাওয়া ব্যক্তিদের আলাদা করে আবার আবেদন করে নিজেদের অন্তর্ভুক্তির জন্য লড়াই করতে হবে। তবে সে দাবি মানেনি শীর্ষ আদালত। এর আগে গত ১০ জুলাই-ও সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিল, নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু নথি ধরা ঠিক নয়। আধার, এপিক ও রেশন কার্ডও সেই তালিকায় রাখা উচিত। কারণ ন্যায়ের স্বার্থে সব নথিকেই সমান গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।
বিচারপতির বক্তব্য, এই ১১টি নির্ধারিত নথির প্রতিটিই নকল হতে পারে। তাই শুধুমাত্র জালিয়াতির ভয়ে সেগুলিকে বাদ দিয়ে দেওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। বরং ভোটারদের যাচাই করে অন্তর্ভুক্তির দিকে নজর দেওয়া উচিত নির্বাচন কমিশনের।
আরও পড়ুনঃ পহেলগাঁও হামলায় জড়িত ৩ জঙ্গি খতম, কাশ্মীরে ফুলফর্মে ‘অপারেশন মহাদেব’
উল্লেখ্য, SIR প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) স্পষ্ট জানিয়েছে যে, নাগরিকত্বের প্রমাণে কোনও নির্দিষ্ট নথিকে এককভাবে মান্যতা দেওয়া যাবে না। সব নথিই যাচাইযোগ্য এবং সেগুলি খারিজ করার আগে যুক্তি থাকা প্রয়োজন। একসঙ্গে লক্ষ লক্ষ ভোটারকে বাদ দেওয়া ঠিক নয়, বরং প্রতিটি আবেদনকারীর তথ্য যাচাই করে সঠিক তালিকা তৈরি করা উচিত।