বাংলা হান্ট ডেস্কঃঘুষ নিতে গিয়েই রাজ্য পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন এক ইডি আধিকারিক। তিনি যখন ঘুষ নিচ্ছিলেন তখনই তাকে হাতেনাতে ধরা হয়। তার কাছ থেকে নগদ ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আদালত সূত্রের খবর দুর্নীতির অভিযোগে ওই ইডি আধিকারিককে গ্রেফতার করেছিল তামিলনাড়ুর পুলিশ।
বড় নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)
প্রসঙ্গত বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হচ্ছে একের পর এক কেন্দ্রীয় সরকারি এজেন্সির কর্মী ও আধিকারিকরা। কিন্তু এবার তাতেই প্রশ্ন উঠছে রাজ্য পুলিশের এক্তিয়ার নিয়ে। এই ঘটনা ঠেকাতে কি ধরনের পদক্ষেপ করা যায় তার জানতে চেয়েই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একটি মামলার রুজু করা হয়েছিল।
সেখানেই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এমন ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন যাতে উভয় পক্ষের মধ্যেই ভারসাম্য রক্ষা করা যায়। উভয়পক্ষের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধানের বার্তা দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানিয়েছে, কারও বিরুদ্ধে যদি দুর্নীতির অভিযোগ থাকে তাহলে তার তদন্ত করার অধিকার রাজ্য পুলিশের আছে। এমনকি অভিযুক্ত যদি কোন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী কিংবা আধিকারিক হন তাহলেও পুলিশের তদন্তে বাধা দেওয়া যাবে না।
প্রসঙ্গত আদালতে (Supreme Court) শুক্রবার যে মামলাটি বিচারের জন্য উঠেছিল সেখানে অভিযোগ ছিল রাজ্য পুলিশ প্রতিহিংসা পরায়ণবশত বিভিন্ন সময় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী,আধিকারিক ও গোয়েন্দাদের গ্রেফতার করছে। এমনকি প্রশ্ন ওঠে রাজ্য পুলিশের কাজের এক্তিয়ার নিয়েও। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি উজ্জ্বল ভূইঁয়া এবং সূর্যকান্তের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল।
তাতেই এদিন সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ অভিযুক্ত ব্যক্তি কখনোই বলতে পারেন না তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা যাবে না। কিন্তু তার বিরুদ্ধে যাতে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত হয় সেই দাবি তিনি করতেই পারেন। কারণ সেটা তার অধিকার। এই মামলায় তামিলনাড়ু সরকারের হয়ে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল এডভোকেট জেনারেল অমিত আনন্দ তিওয়ারি।
আরও পড়ুন: রাজ্যের মন্ত্রীর উস্কানিতে ভাঙচুর হিন্দু মন্দিরে! BJP-র অভিযোগের পাল্টা জবাব দেবাংশুর
তিনি জানিয়েছেন ওই ইডি আধিকারীকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী আইন অনুসারে অভিযোগ দায়ের ও তদন্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই মামলায় রাজ্য পুলিশ তদন্তের কাজ শেষ করে ফেলেছে। চার্জশিট তৈরি হয়ে গেলেও ইডি সুপ্রিম কোর্টে মামলা করায় তারা সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছেন না। তবে অভিযুক্তের আইনজীবী রাজ্য পুলিশের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন করলে রাজ্যের আইনজীবী পাল্টা জানান একজন অভিযুক্ত কখনও ঠিক করতে পারেন না কে বা কারা তার বিরুদ্ধে তদন্ত করবে।
আদালত এই যুক্তিতে সম্মতি জানায়। সেই সাথে আদালত জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য পুলিশ,কিংবা কেন্দ্রীয় সংস্থা প্রত্যেকের নিজস্ব অধিকার আছে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীকে গ্রেফতার করলে তাতে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে ঠিকই তবে এক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশকে তদন্তের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না। সেইসাথে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছেন এই মামলায় তারা উভয়পক্ষের যুক্তি শুনবে এবং এমন রায় ঘোষণা করবে, যাতে সাংবিধানিক সংকট এড়ানো যায় এবং দুই পক্ষের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা যায়।