প্রাথমিক শিক্ষকতায় বাধ্যতামূলক টেট! দু’বছরের মধ্যে পাস না করলে… সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাপে পর্ষদ

Published on:

Published on:

Supreme Court says TET is mandatory for primary teachers

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে এবার নড়েচড়ে বসল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সোমবার সব জেলার ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিল (ডিপিএসসি)-এর চেয়ারম্যানদের কাছে কর্মরত শিক্ষকদের বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে পর্ষদ। কে কবে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, কারা কবে অবসর নেবেন, সবই খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এর জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ১৫ দিন।

টেট বাধ্যতামূলক, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) স্পষ্ট বার্তা

কয়েক দিন আগেই শীর্ষ আদালত (Supreme Court) জানিয়ে দিয়েছে যে, শিক্ষক পদে বহাল থাকতে গেলে টেট (TET) উত্তীর্ণ হওয়া অপরিহার্য। শুধু তাই নয়, পদোন্নতির ক্ষেত্রেও টেট পাশ করা বাধ্যতামূলক। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পাঁচ বছরের বেশি চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলেও টেট পাশ না করলে শিক্ষকতায় থাকা যাবে না।

বর্তমানে রাজ্যে প্রায় দেড় লক্ষ প্রাথমিক শিক্ষক কর্মরত আছেন। তাঁদের মধ্যে বহুজন এখনও টেট উত্তীর্ণ নন। তাঁদের সবাইকে টেট পরীক্ষায় বসতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী দুই বছরের মধ্যে টেট পাশ করতেই হবে। না হলে চাকরি যাবে। একই সঙ্গে পদোন্নতির সুযোগও বন্ধ হয়ে যাবে।

এছাড়া আদালতের (Supreme Court) নির্দেশে আরও স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, যাঁদের অবসর নিতে আর পাঁচ বছর বাকি, তাঁরা টেট না পাশ করলেও চাকরিতে থাকবে, তবে তাঁরা পদোন্নতি পাবেন না। আর যাঁরা ২০০৯ সালে শিশুদের বাধ্যতামূলক এবং বিনামূল্যে শিক্ষা অধিকার আইন কার্যকর হওয়ার আগে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের টেট পাশ করার জন্য আলাদা করে দুই বছরের সময় দেওয়া হয়েছে।

তবে যারা টেট পাশ করবেন না, তাঁদের চাকরি ছেড়ে দিতে হবে অথবা টার্মিনাল বেনিফিট নিয়ে বাধ্যতামূলক অবসরে যেতে হবে। আদালত (Supreme Court) এও বলেছে যে, ২০১১ সালে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন ঘোষণা করেছিল যে, শিক্ষকপদে নিয়োগে যোগ্য হতে টেট বাধ্যতামূলক। মূলত সেই নিয়মই এবার কড়াভাবে কার্যকর করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।

Supreme Court says TET is mandatory for primary teachers

আরও পড়ুনঃ “এসব আমি করি না”, উপহারে বাবা-মায়ের ছবি নিতে কেন আপত্তি জানালেন মমতা?

প্রসঙ্গত, সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে টেট বাধ্যতামূলক হবে কিনা, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়নি শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। বিষয়টি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু আপাতত রাজ্যের সব সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের ওপরেই টেট বাধ্যতামূলক করার কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।