বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে গত বছর থেকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে শোরগোল রাজ্যে। ওদিকে সম্প্রতি সামনে এসেছে পোস্টিং বিক্রির (Posting Corruption) অভিযোগ। গত ২৫ জুলাই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) এজলাসে প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘পোস্টিং’ দুর্নীতির একটি মামলা ওঠে। এরপরই সিবিআই কে এই মামলার তদন্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত।
সেই মামলাতেই জোর তৎপরতার সঙ্গে ময়দানে নেমেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ৩৪৪ জন প্রাথমিক শিক্ষককে ডেকে আজ থেকেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তবে এদিনই সেই মামলাতে এল সুপ্রিম স্থগিতাদেশ দিল শীর্ষ আদালত।
পোস্টিং বিতর্ক মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এমনিতেই তদন্ত করছে সিবিআই তাই নতুন করে পোস্টিংয়ের মামলায় সিবিআই তদন্তের প্রয়োজনীতার কথা তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য।
আরও পড়ুন: বিরাট অ্যাকশন! এত দিনে নড়েচড়ে বসল CBI, এবার নিজামে তলব করা হল ‘ওদের’
সোমবার এই মামলার শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এএস বোপান্না এবং বিচারপতি পিএস নরসিমহার ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আপাতত হাই কোর্টের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে। মামলাটিতে মূল মামলাকারীদের আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে জানিয়েছে, এ বিষয়ে মূল মামলাকারীদের নোটিস দিতে হবে।
আরও পড়ুন: মহা ফাঁপরে ED, বাংলা-ইংরেজির খেল! কী ভাবে এগোবে অনুব্রতের বিচারের প্রক্রিয়া?
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুলাই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘পোস্টিং’ দুর্নীতির একটি মামলা ওঠে। মারাত্মক অভিযোগ তুলে মামলাটি করেছিলেন সুকান্ত প্রামাণিক। এরপর সেদিনই বিচারপতি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে জেরা করার নির্দেশ দেন।
সিবিআইকে (CBI) এই জিজ্ঞাসাবাদের দায়িত্ব দেওয়ার পর সেদিন রাতেই মানিক ভট্টাচার্যকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও রেকর্ড করে তাও আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। পূর্বে এই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, প্রাথমিকের নিয়োগে পরিকল্পিত ভাবে দুর্নীতি হয়েছে। এর পেছনে হাত রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের।
যদিও এরপরই হাই কোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। শীর্ষ আদালত মানিক ভট্টাচার্যকে কোনও রকম জিজ্ঞাসাবাদ ও তার ভিডিও ফুটেজ পেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। তবে এরপর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সিবিআই এই মামলায় তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে। এদিন বিচারপতির সেই নির্দেশের ওপর স্থগিতদেশ দিল আদালত।