বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সরকারি চাকরি (Government Jobs) এখন হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো হয়ে গিয়েছে! বছরের পর বছর ধরে পরিশ্রম করলেও অনেকের শিঁকে ছেড়ে না। স্বাধীনতার প্রায় ৮০ বছর পরেও পর্যাপ্ত সংখ্যক সরকারি চাকরি না থাকায় এবার আক্ষেপ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। একইসঙ্গে বড় নির্দেশ দিয়ে দিল আদালত।
সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যা হল…
সরকারি চাকরির একাধিক সুবিধা রয়েছে। সেই কারণে অনেকেই সরকারি চাকরির আশায় কঠোর পরিশ্রম করেন। তবে দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হল স্বাধীনতার প্রায় আট দশক পরেও সব যোগ্য প্রার্থীর জন্য সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করতে পারছে না সরকার। এবার এই নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করল এদেশের সর্বোচ্চ আদালত।
জানা যাচ্ছে, বিহারের চৌকিদার পদ বিষয়ক বিতর্কের একটি মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই রাজ্যের নিয়ম ছিল, চৌকিদার পদটি বংশানুক্রমিকভাবে চালু থাকবে। অর্থাৎ বর্তমানে যিনি এই পদে রয়েছেন, সেই ব্যক্তির অবর্তমানে তাঁর পরিবারেরই কেউ এই চাকরি পাবেন। পাটনা হাইকোর্টের (Patna High Court) তরফ থেকে আগেই এই প্রথা বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ মেরামতি, সাফাইয়ের কাজ শুরু! জেলবন্দি পার্থর ‘ইচ্ছে’ নিয়ে বড় খবর! তাহলে কি…? তোলপাড় বাংলা
উচ্চ আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়, এই নিয়মের কোনও সাংবিধানিক বৈধতা নেই। পরবর্তীতে জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) অবধি। এবার সেই মামলাতেই সরকারি চাকরির অপ্রতুলতা নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করল শীর্ষ আদালত।
বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি মনমোহনের বেঞ্চের কথায়, ‘স্বাধীনতার পর আমরা প্রায় ৮০ বছরের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছি। অথচ এখনও আমরা যোগ্য প্রার্থীদের জন্য উপযুক্ত সংখ্যক সরকারি চাকরির বন্দোবস্ত করতে পারিনি। খুব কম সরকারি চাকরির সুযোগ থাকার কারণে অনেক যোগ্য প্রার্থী চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেন। কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে’।
শীর্ষ আদালত (Supreme Court) আরও বলে, ‘একটি সরকারি চাকরি পাওয়ার আশায় যোগ্য প্রার্থীরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। কিন্তু পর্যাপ্ত চাকরির সুযোগের অভাবে তাঁদের বঞ্চিত হতে হচ্ছে’। বিহারের এই মামলায় হাইকোর্টের রায়ই বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গেই রাজ্যে চাকরির অভাব নিয়েও আক্ষেপ প্রকাশ করেছে।