বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিহারের ভোটের তালিকা নিয়ে টানাপোড়ন লেগেই রয়েছে। এবার সেই ভোটের তালিকা টানাপোড়নে আইনি সহায়তা মঞ্চকে কাজে লাগায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সোমবার আইনি সহায়তার মঞ্চকে কাজে লাগিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে প্রতিটি জেলায় স্টেট লিগাল এইড ফোরামের চেয়ারম্যানের অধীনে প্যারালিগাল ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করা হবে। এর পাশাপাশি নজরদারি রাখা হবে লিগাল এইড ফোরাম।
SIR মামলা ঘিরে সুপ্রিম কোর্টের রায়, কী জানাল দেশের সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court)
বিহারের (Bihar) ভোটের তালিকা সংশোধন নিয়ে ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) । যদিও বেশ কয়েকবার দফায় দফায় বিহারের ভোটের তালিকার সংশোধন নিয়ে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। যদিও, শুক্রবার অর্থাৎ ২৩ আগস্ট বিহারে হওয়া SIR মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, SIR প্রক্রিয়ায় আধার কার্ডসহ মোট ১১ ধরনের নথি গ্রহণযোগ্য।
যদিও খসড়া ভোটের তালিকা ১ আগস্ট প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে ব্যক্তি ও রাজনৈতিক দলগুলির দাবিও আপত্তি দাখিলের জন্য সেই সময়সীমা বাড়িয়ে করা হয়েছিল ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এছাড়াও এর আগে বিহারে (Bihar) হওয়া SIR প্রক্রিয়ায় আধার কার্ড সহ মোট ১১ ধরনের নথি গ্রহণযোগ্য হয়েছে। এর পাশাপাশি ভারত নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই পুরো প্রক্রিয়াটি যাতে ভোটার বান্ধব করার জন্য।
আরও পড়ুন: টকজলেই পুজোর মজা! কলকাতার বুকে সেরা ফুচকার ১০ স্পট
এছাড়াও, রাজনৈতিক দলগুলি আবেদন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া সহায়তা করবেন তাঁরা। পাশাপাশি এর গোপন রিপোর্ট তৈরি করে দেবেন জেলা লিগাল এইড চেয়ারম্যানকে। এরপরে সেই রিপোর্ট এক জায়গায় করে রাজ্য লিগাল এইড সেল আদালতের জমা করবে। এর পাশাপাশি শীর্ষ আদালত যে নির্দেশ গুলো দিয়েছে তা নীচে আলোচনা করা হল।
১) ১লা সেপ্টেম্বরের পর আপিল বা সংশোধন দাখিল করা নিষিদ্ধ নয়।
২) মনোনয়নের শেষ তারিখ পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে। পাশাপাশি সমস্ত অন্তর্ভুক্তি ও বর্জন চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
৩) ইতিমধ্যে এই বিষয়ে রাজনৈতিক দল বা আবেদনকারীরা হলফনামা জমা দিতে পারেন। তবে তারা অনলাইনে দাবি বা সংশোধন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে ভোটার বা রাজনৈতিক দলগুলিকে সহায়তা করতে হবে।
৪) এছাড়াও বিহারের (Bihar) লিগালেট সার্ভিস এর চেয়ারম্যানকে মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে সমস্ত জেলা এলএসএ-কে নির্দেশ জারি করুন। যাতে তারা নাম ও মোবাইল নম্বর সহ স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়োগ করে।
৫) নির্বাচন কমিশন বা রাজনৈতিক দলের বক্তব্য এর উপর নির্ভর না করে এবার নিজেদের চোখ-কান খোলা রেখে মোতায়েন করছে সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এই বিষয়ে রাজনৈতিক দলের কাছ থেকেও মতামত চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এর পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে ৮ সেপ্টেম্বর।