বাংলাহান্ট ডেস্ক: কথায় বলে, মানুষের মৃত্যুর পর তার গুরুত্ব বোঝা যায়। আর একথা অক্ষরে অক্ষরে ফলে গিয়েছে সুশান্ত সিং রাজপুতের (sushant singh rajput) ক্ষেত্রে। জীবিতাবস্থায় পাননি উপযুক্ত মর্যাদা। বরং অভিযোগ ওঠে তথাকথিত ইন্ডাস্ট্রির বহিরাগত হওয়ায় একঘরে করে রাখা হয়েছিল তাঁকে। নিয়তির কী খেল! আজ যখন মানুষটা ইহজগতে নেই তখন তাঁর কথা ভেবে চোখের জল ফেলছে মানুষ, দেওয়া হচ্ছে মরণোত্তর সম্মান।
এক সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদ মাধ্যমের সমীক্ষায় প্রকাশিত হয়েছে সুশান্ত সবথেকে কাঙ্খিত পুরুষ। ‘মোস্ট ডিসায়ারেবল ম্যান অফ ২০২০’র (sushant singh rajput) খেতাব পেয়েছেন প্রয়াত অভিনেতা। সেরাদের তালিকায় মূলত হিন্দি ইন্ডাস্ট্রির তারকাদেরই জয়জয়কার। তবে সবাইকে ছাপিয়ে শীর্ষস্থানে জ্বলজ্বল করছে সুশান্তের ছবি।
ওই সংবাদ মাধ্যমের একটি আর্টিকেলে লেখা হয়েছে বলিউডের এক প্রবীণ অভিনেতার সুশান্তের সম্পর্কে কিছু বক্তব্য। সুশান্ত খুবই প্রতিভাবান ছিলেন। কোনো কিছুর সন্ধানে মগ্ন ছিলেন তিনি, এমনটাই জানিয়েছেন ওই বলিউড অভিনেতা। পাশাপাশি তিনি এও বলেছেন, সুশান্তকে সম্পূর্ণ বোঝার ক্ষমতা তাঁর ছিল না।
https://www.instagram.com/p/CPuhWpUNggq/?utm_medium=copy_link
এমনটা অবশ্য এর আগে প্রয়াত অভিনেতার অনেক ঘনিষ্ঠজনই বলেছেন। একাধারে দার্শনিক ও শিল্পী ছিলেন সুশান্ত। শুধুমাত্র সিনেমার গণ্ডিতে বাঁধা ছিল না তাঁর জগৎটা। তাঁর ইচ্ছের তালিকায় সিনেমা বা টাকা কখনোই স্থান পায়নি। বরং সুশান্তের পছন্দের তালিকায় ছিল সৌরজগৎ, নাসা বা CERN। বাড়িতেই অত্যাধুনিক টেলিস্কোপ বসিয়েছিলেন সুশান্ত। বেশিরভাগ সময়টাই তাঁর কাটতো ওই টেলিস্কোপে চোখ লাগিয়ে।
গত বছর ১৪ জুন না ফেরার দেশে পাড়ি দেন সুশান্ত সিং রাজপুত। বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে মেলে তাঁর ঝুলন্ত দেহ। তারপর থেকে বছর ঘুরতে চললেও সুরাহা হয়নি তাঁর মৃত্যু রহস্যের। তবে হাল ছাড়েননি অভিনেতার অনুরাগীরা। তাদের বিশ্বাস সুশান্ত এখনো জীবিত রয়েছেন, মানুষের চিন্তায়।