বাংলাহান্ট ডেস্ক: একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে সুশান্ত সিং রাজপুতের (sushant singh rajput) মৃত্যু নিয়ে। নানা মুনির নানা মত। কেউ বলছেন, কর্মক্ষেত্রে চাপের মধ্যে ছিলেন তিনি। ইন্ডাস্ট্রির রেষারেষির মধ্যে পড়েই হার মানেন সুশান্ত। আবার একপক্ষের বক্তব্য, একাধিক সম্পর্কের টানাপোড়েনই সুশান্তের মৃত্যুর কারন।
এই তালিকায় যোগ হয়েছে আরও এক নয়া তথ্য। প্রবল অর্থকষ্টে ভুগছিলেন সুশান্ত। অতিরিক্ত ধার দেনা হয়ে গিয়েছিল তাঁর। এমনকি তার জন্য বাড়ির পরিচারকদের বেতন কিভাবে মেটাবেন সেই নিয়েই চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা। এমন দাবি সুশান্তেরই বাড়ির এক পরিচারকের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি এক সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছিলেন। এই চিন্তাতেই নাকি মৃত্যুর কয়েকদিন আগে থেকে ভেঙে পড়েছিলেন সুশান্ত। তবে মুম্বই পুলিস জানিয়েছে, অভিনেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য ঘেঁটে এমন কোনও সম্ভাবনাই দেখা যায়নি। মেলেনি কোনো অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্যও। এমনকি অভিনেতার দিদিও উড়িয়ে দিয়েছেন এই গুজব।
প্রসঙ্গত, সুশান্তের বাড়ির পরিচারকদের সেত্রে জানা যায় মৃত্যুর দিন ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠেন তিনি। তারপর সকাল সাড়ে নটা নাগাদ এক গ্লাস ফলের রস খেয়ে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করেন। এরপর বহুবার ডাকাডাকি সত্ত্বেও তিনি খোলেননি দরজা।
দুপুরের খাবার নিয়ে এসে ডাকাডাকি করেও দরজা খোলাতে পারেনি পরিচারকেরা। তখন তাদের সন্দেহ হওয়াতে ফোন করেন সুশান্তের দিদিকে। এরপরেই লক ভাঙার মিস্ত্রি ডেকে ভাঙা হয় অভিনেতার ঘরের দরজা।
সুশান্তের শেষ ছবিগুলির মধ্যে ছিছোঁড়ে বক্স অফিসে বেশ হিট হলেও মুখ থুবড়ে পড়ে সোনচিড়িয়া। এরপর ড্রাইভ ছবিটিও সব জায়গা থেকেই খারাপ রিভিউ পায়। এই সব কারনেই তিনি অবসাদে ভুগছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।