মাত্র ১৪ শতাংশ! কেন সরকারি কর্মীদের DA বাড়াচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার? এবার এল ‘জবাব’

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একের পর এক সারপ্রাইস পাচ্ছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা (Government Employees)। আর রাজ্য সরকারি কর্মীদের ঝুলি শূন্য। বহু প্রতীক্ষার পর গতকালই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার তরফে ক্যাবিনেটে অনুমোদন পেয়েছে অষ্টম বেতন কমিশন। অর্থাৎ এবার এক ধাক্কায় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন এবং মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) বৃদ্ধি পাবে। তবে বাংলার সরকারি কর্মীদের জন্য কোনো ভালো খবর এখনও আসেনি।

DA ইস্যুতে এল জবাব-Dearness Allowance

বর্তমানে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ১৪% হারে ডিএ (DA) পাচ্ছেন এ রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। আর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার পরিমাণ ৫৩%। ওদিকে এই নিয়ে ১৪ তম বার সুপ্রিম কোর্টে বাংলার ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়ে গেছে। সবমিলিয়ে হতাশায় ভেঙে পড়েছেন সরকারি কর্মীরা।
এই আবহে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বৃহস্পতিবার বিরোধী দলনেতা লেখেন, ‘ প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় অষ্টম পে-কমিশনের অনুমোদন দিয়েছেন। যার ফলে ৪৯ লক্ষেরও বেশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং ৬৮ লক্ষ পেনশনভোগী উপকৃত হবেন। সপ্তম বেতন কমিশনের সংস্কারকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে অষ্টম বেতন কমিশনে।’ এরপরই মমতা সরকারকে খোঁচা দেন শুভেন্দু।

শুভেন্দু লেখেন,’ ঋণে জর্জরিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার ষষ্ঠ পে-কমিশনে বাঁধা পড়ে রয়েছে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিনের পর দিন ঋণ বাড়িয়ে চলেছেন। তাই রাজ্য নতুন বেতন কমিশন তো দূর, ডিএ দিতে পারে না। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতনের ফারাক আরও বাড়ছে।’

dearness allowance

উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে যে ডিএ মামলার শুনানি চলছে তা পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় বকেয়া ডিএ মামলা। বর্তমানে ষষ্ঠ পে কমিশনের আওতায় ১৪ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন এ রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৫৩% হারে ডিএ পাচ্ছেন। অর্থাৎ কেন্দ্র-রাজ্য ব্যাবধান দাঁড়িয়েছে ৩৯ শতাংশ।

২০২২ সালের ২০ মে ডিএ মামলা হাইকোর্টে উঠলে আদালতের নির্দেশ ছিল, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। তবে সেবার জয় পেয়েও মেলেনি বকেয়া। উচ্চ আদালতের ডিএ (Dearness Allowance) রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়।

dearness allowance

এরই মাঝে তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার দায়ের করে। সেই মামলার মধ্যেই পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেই ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা চলছে। বর্তমানে ২০২৪ সাল। হাইকোর্টে ডিএ মামলাকারীরা জয় পেয়েছিল।

আরও পড়ুন: ঘুম উড়ল শিক্ষকদের! বদলি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের, বিজ্ঞপ্তি জারি করল শিক্ষা দফতর

গত ২০২২ সালের ২০ মে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। এরপরই রাজ্য সরকার স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করে। সেই প্রেক্ষিতেই মামলা শুরু হয়। তারপর থেকে আরও একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা আদালতে উঠলেও বারে বারে শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। এই আবহে বিরোধীরা রাজ্য সরকারকে ক্রমশ চাপ দিয়ে যাচ্ছে।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর