বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরেও বাদ গেল না বিতর্ক। রাজনীতি করার অভিযোগ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে। চরম কটাক্ষ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এক্ষেত্রে সর্বপ্রথম অপমানের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি শুভেন্দু অধিকারী এবং পরবর্তীতে তাঁকে ‘তোলাবাজ’ এবং ‘ব্ল্যাকমেলার’ বলে আক্রমণ শানান কুণাল।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস বনাম শুভেন্দু অধিকারী দ্বন্দ্ব চরমে। একের পর এক ইস্যুকে কেন্দ্র করে যুযুধান দুই পক্ষ। আর এর মাঝেই এদিন রাজভবনে শপথ নেন নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তবে এক্ষেত্রেও বাদ গেল না বিতর্ক।
রাজভবনে রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এদিন উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, গোপাল কৃষ্ণ গান্ধী, রাজ্যের বিধায়ক, মন্ত্রী এবং অন্যান্য ব্যক্তিত্বরা। তবে এক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীকে আমন্ত্রণ করা হলেও অবশেষে রাজ্যকে দায়ী করে গরহাজির থাকেন তিনি। একইসঙ্গে এর জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে সরকারকে দায়ী করেন শুভেন্দু।
কি অভিযোগ বিরোধী দলনেতার? প্রথমে একটি টুইট এবং পরবর্তীতে সাংবাদিক বৈঠক করে একটি ছবি তুলে ধরেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর দাবি, তাঁর চেয়ারের পাশে কৃষ্ণ কল্যাণী এবং বিশ্বজিৎ কুন্ডুকে বসার জায়গা দেওয়া হয়েছে। বলে রাখা ভালো, উক্ত দুইজন সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। এই ঘটনায় অপমানবোধ করেন বিরোধী দলনেতা। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, “তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে চায় এবং একই সঙ্গে আমাকে অপমান করার জন্য বসার আয়োজনে চক্রান্ত করা হয়েছে।”
পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, “তৃণমূল সাংসদদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে কেন আমন্ত্রণ জানানো হয়নি?”
যদিও শুভেন্দু অধিকারীর এহেন বক্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “চরম অসৌজন্যতার প্রকাশ পেল। সব কিছুতেই রাজনীতি। ওর (শুভেন্দু) বিরুদ্ধে তোলাবাজি থেকে শুরু করে সারদায় ব্ল্যাকমেলিং করার অভিযোগ রয়েছে। এখন নাটক করছে। আসলে ও যা করেছে, তাতে এখন আমাদের সঙ্গে চোখ মেলানোর সাহস পর্যন্ত নেই। বেইমানি করেছে, এখন লজ্জায় কি করে সামনে এসে দাঁড়াবে, তা ভেবে পাচ্ছে না। ওর কুকীর্তির কথা আমরা রাজ্যপালকেও জানাবো।”