বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মালদহের চাঁচলে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভা হবে কি না, তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। নতুন বছরের ভিড় ও নিরাপত্তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল পুলিশ। শেষ পর্যন্ত এই বিষয়েই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ওঠে। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে শর্তসাপেক্ষে সভা করার অনুমতি দিল আদালত।
শর্তসাপেক্ষে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভায় অনুমতি দিল হাই কোর্ট
শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভা প্রসঙ্গে হাই কোর্ট সম্প্রতি জানিয়েছে শর্ত মেনেই মালদহের চাঁচলে বিজেপির সভা করতে পারবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরী এই নির্দেশ দেন।
কী কী শর্ত দিল হাই কোর্ট?
আদালত জানিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভায় সর্বাধিক ৯ হাজার মানুষ থাকতে পারবেন। এর বেশি লোক জমায়েত করা যাবে না। পাশাপাশি, সভায় ৭০টির বেশি মাইক্রোফোন ব্যবহার করা যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। আদালতের এই রায়ের পর মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী আদালতে বলেন, স্থানীয় এসডিপিও আগেই একটি রিপোর্ট দিয়েছেন। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, নতুন বছরের সময় এলাকায় স্বাভাবিকভাবেই মানুষের ভিড় অনেক বেড়ে যায়। তাই এত বড় সভা হলে সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে।
এরপর মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবীর কথার পাল্টা যুক্তি দেয় বিজেপি। দলের আইনজীবী বলেন, এসডিপিও-র এই বিষয়ে অনুমতি দেওয়া বা নিষেধাজ্ঞা জারি করার কোনও অধিকার নেই। তিনি শুধুমাত্র নিজের মতামত জানিয়েছেন, সেটিকে নির্দেশ হিসেবে ধরা যায় না। রাজ্যের পক্ষের আইনজীবী বিবেকানন্দ বসু আদালতে জানান, পুলিশ ও এসডিও-র রিপোর্ট অনুযায়ী ওই এলাকায় সভা হলে বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড় হতে পারে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যদি ১৫ হাজার মানুষ আসে, তাহলে তাঁদের যাতায়াত ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা কীভাবে সম্ভব হবে? রাজ্য আরও জানায়, নতুন বছরের সময় পুলিশ বাহিনী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ব্যস্ত থাকে। সেই কারণে অতিরিক্ত ভিড় সামলানো পুলিশের পক্ষে কঠিন হতে পারে। ভিড়ের চাপ কমাতেই সভায় মানুষের সংখ্যা সীমিত রাখার অনুরোধ জানানো হয়।

আরও পড়ুনঃ নির্বাচন কমিশনারের নামে FIR করা যায় কি? কী বলছে আইন? জানুন
সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত সিদ্ধান্ত নেয়, কড়া শর্ত দিয়ে সভার অনুমতি দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ীই আগামী দু তারিখের মালদহে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভায় ৯ হাজার মানুষের সীমা ও মাইক্রোফোন ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে সভার অনুমতি মিললেও, সব শর্ত মানতেই হবে।












