বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী আসতে পারছেননা সেই খবর আগেই মিলেছিল। যদিও তাতেও লক্ষ কণ্ঠের গীতাপাঠের (Gita Path) কর্মসূচি থেমে থাকছেনা। তাঁকে ছাড়াই লক্ষ কণ্ঠে লক্ষ্য ছুঁতে চান আয়োজকরা। পুরোদমে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যেই ব্রিগেড পরিদর্শন করে গেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) সহ আয়োজক সন্ন্যাসীরা। শোনা যাচ্ছে, গীতা পাঠের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হচ্ছে।
প্রথমটায় ঠিক করা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী এলে দুটি মঞ্চ হবে। যার একটিতে মোদী (Narendra Modi) এবং দ্বারকা পীঠের শঙ্করাচার্য সদানন্দ সরস্বতী থাকবেন। অপর মঞ্চটিতে নজরুল গীতি, গীতাপাঠ-সহ অন্যান্য কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। তবে নরেন্দ্র মোদীর বাংলা সফর বাতিল হওয়ায় আপাতত একটি মঞ্চই তৈরি করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, এই মঞ্চ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে।
এইদিন ব্রিগেড পরিদর্শনের পর শুভেন্দু সহ আয়োজক সন্ন্যাসীরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গ থেকে মানুষ আসতে শুরু করে দিয়েছেন। প্রায় ১০টি ট্রেন অবধি ভাড়া করা হয়েছে বলে খবর। তবে উত্তরবঙ্গ থেকে কোনও ট্রেন আসছেনা। শুভেন্দু বলেন, ‘অর্থাভাবের জন্য আমরা উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় আসার কোনও ট্রেনের ব্যবস্থা করতে পারিনি। তা সত্ত্বেও কমপক্ষে পাঁচ হাজার মানুষ আসবেন। আর দক্ষিণবঙ্গ ও কলকাতা মিলিয়ে গীতাপাঠে যোগ দেবেন এক লাখ ৩০ হাজার মানুষ।’
আরও পড়ুন : ‘সাহস থাকলে মোদীর বিরুদ্ধে আপনি লড়ুন’, মমতা ব্যানার্জিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ অগ্নিমিত্রার
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এইদিন ব্রিগেড পরিদর্শনের পর আয়োজকরা জানান, এই অনুষ্ঠানে কোনও রকম রাজনৈতিক ছোঁয়া রাখা হবেনা। কয়েকটি সংগঠন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। শুভেন্দু নিজেও বলেন, ‘আমরা জানি এই অনুষ্ঠানের রাজ্য সরকারের থেকে এক লিটার জলও পাব না। সব সনাতনী সংগঠন একসঙ্গে মিলে এই আয়োজন করছে। এটা যেহেতু কোনও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়। তাই কোনও বিধায়ক, জনপ্রতিনিধি গীতাপাঠের মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন না। আমরা কোনও নেতা মঞ্চে থাকবে না। শুভেন্দু, সুকান্তরা মঞ্চে থাকবে না। নীচে থাকব। ভলান্টিয়ারের কাজ করব। গীতা যখন পাঠ হবে, হিন্দু হিসেবে অংশগ্রহণ করব।’
আরও পড়ুন : CBI-র গাড়ি, বাড়ির ব্যবস্থা করবে রাজ্য! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ভর্ৎসনার জবাব দিল রাজ্য
যদিও নরেন্দ্র মোদীর অনুপস্থিতির কারণ নিয়ে এখনও বেশ দ্বন্দ্ব রয়েছে মানুষের মনে। তবে তিনি না এলেও লক্ষ কণ্ঠের গীতাপাঠের পরিকল্পনার কোনও হেরফের হবেনা। এইদিন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা শচীন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচিতে গীতাপাঠই মুখ্য। প্রধানমন্ত্রী এলে আমাদের ভাল লাগত তবে তিনি না এলেও গীতা ভক্তদের আগ্রহ একটুও যে কমেনি সেটাই দেখা যাবে রবিবার ব্রিগেড ময়দানে। কোনও রাজনৈতিক ছোঁয়া ছাড়াই অতীতে কোথাও এত বড় কর্মসূচি হয়নি। রবিবার রাজ্যের আদিবাসী সমাজের বহু মানুষও এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।’’