বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাংলায় এই মুহূর্তে আধার (Aadhaar Card) বিতর্ক চরমে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) চিঠিও লিখেছেন তিনি। আর এবার এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে তিনি বলেন, আধার নিয়ে অযথাই আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদীর দফতরে তিন পাতার একটি চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভুয়ো খবর ছড়িয়ে করে রাজ্যের জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন। আধার কার্ডের বিকল্প হিসাবে একটি পরিচয়পত্র দেওয়ার আশ্বাসও সংবিধান বিরোধী। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এ বিষয়ে চিঠি লিখে জানিয়েছি।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, ‘UIDAI কোনও ফিল্ড এনকোয়ারি ছাড়া এই কাজ করেছে। রাজ্যকে না জানিয়েই আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেশনের নোটিস পাঠিয়েছে একাধিক বাড়িতে। আগাম না জানিয়ে কীভাবে এটা করা হতে পারে অবাক লাগছে।’ একই সাথে নবান্ন থেকে বিকল্প কার্ড দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
আরও পড়ুন : ‘সব বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাও, দায়িত্ব আমার’, সন্দেশখালি পৌঁছেই মায়েদের আশ্বাস দিলেন শুভেন্দু
আধার নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘আধার কার্ড নিয়ে যারা ছেলেখেলা করছেন, মানুষকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছেন, আঁধার জগতে মানুষ তাদের ফেলবে। বিকল্প কার্ড দেব আমরা।’ এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীর তুলোধুনো করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি নেতা বলেন, ১০০ দিনের কাজের টাকায় ফের একবার কারচুপি করার জন্যই নাকি এইসব নতুন কার্ডের কথা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন : সন্দেশখালি মামলায় ইডি, সিবিআই! প্রধান বিচারপতির গলায় উদ্বেগ, বড় রায় হাইকোর্টের
শুভেন্দুর কথায়, ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে রাজ্য সরকারের নির্দেশনামায় আছে যে, আধার অ্যাকাউন্ট ছাড়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে না। অথচ মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, রাজ্য নয়া কার্ডের ব্যবস্থা করবে। সেখানেই তার প্রশ্ন, ‘মমতা কি দেশের মধ্যে আরও একটা দেশ তৈরি করতে চান?’ এককথায় শুভেন্দু বলেন, সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে চব্বিশের ভোট বৈতরণী পার করতে চাইছে তৃণমূল সরকার। এখানে বলে রাখা ভালো, বাংলার ২১ লক্ষ মানুষের ১০০ দিনের টাকা বাকি রয়েছে। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে, এই টাকা ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সকলের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে। তবে পরে ফের দিন বদলে তা ৩মার্চ ধার্য্য করা হয়।