বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বহু প্রতীক্ষা আর জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবার সব্যসাচী দত্ত বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েই দেন। ওনার হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলে মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পাশে ছিলেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক তথা রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে সব্যসাচীকে দলে নেওয়া নিয়ে তুমুল বিতর্কে জড়ালো তৃণমূল।
এদিন বিধানসভায় বিধায়ক হিসেবে শপথ নেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই অনুষ্ঠানের পর দিদির সঙ্গে দেখা করেন সব্যসাচী দত্ত। এরপর তৃণমূলে মহাসচিব তথা পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থবাবু সব্যসাচীর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন। আর এই যোগদান অনুষ্ঠান হয়েছিল বিধানসভার অন্দরেই। যা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নতুন বিতর্ক।
নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই বিষয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেছেন, আজ নির্লজ্জ দলতন্ত্রের নজির দেখা গেল বিধানসভায়। আজকের এই ঘটনা বিধানসভার গরিমাকে কলঙ্কিত করেছে। উল্লেখ্য, বিধানসভা কোনও দলের কার্যালয় না, সেখানে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আইন, জনকল্যাণের জন্য বিভিন্ন বিল ও প্রকল্প পাশ হয়। সেখানে এমন কাণ্ড দেখে শুধু বিজেপিই না, বাকি বিরোধীরাও সরব হয়েছে।
The WB Assembly witnessed a rare & exceptional event which no other Assembly in India has ever seen or witnessed.
The Ruling Party using the Assembly as it's own Party Office is plain & simple ridiculous. Making someone join the party fold at the Assembly defames it considerably. pic.twitter.com/R0mL2QhUO8— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) October 7, 2021
এই বিষয়ে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘দলতন্ত্রের প্রতিদিনই নয়া রেকর্ড গড়ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর আগে নবান্ন থেকেই দল পরিচালনা, সরকারি প্রকল্পের মোড়কে দলের কাজ চলছিল। বিধানসভাতেও আগে দল ভাঙানোর ঘটনা ঘটছে। কিন্তু এখন খোদ স্পিকারের ঘরের মধ্যে দলীয় পতাকা ধরাচ্ছেন পরিষদীয় মন্ত্রী! এর থেকেই প্রমাণিত হল যে, তৃণমূল সংবিধান হোক আর গণতন্ত্র, কিছুই মানে না।