বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূলের ফর্মুলা অনুযায়ী ৭৫ ভাগ টাকা কলকাতায় যায় আর ২৫ ভাগ অন্যত্র রাখা হয়। ওই ৭৫ শতাংশই পৌঁছে যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ‘ভাইপো’ অভিষেকের কাছে; এদিন ঠিক এই ভাষাতেই তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) শীর্ষ নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একই সঙ্গে দুর্নীতি ইস্যুতে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলায় নিয়োগ থেকে শুরু করে কয়লা ও গরু পাচার সহ একাধিক দুর্নীতি মামলায় অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অনুব্রত মণ্ডলের জেল হেফাজত হয়েছে। এ সকল দুর্নীতির মামলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ রয়েছে বলে ইতিমধ্যে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধী দলগুলি। এদিন সেই ইস্যুকে সামনে এনেই আক্রমণের ঝাঁঝ আরো বাড়িয়ে তুললেন শুভেন্দু অধিকারী।
নন্দীগ্রামের কালীচরণপুর এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার পর এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “অপা সিন্ডিকেটের (পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়) উপরে যেতে গেলে ‘ভাইপো’-র নাম আসবে এবং নিচের দিকে নামলে দেখা যাবে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকর্মীরা রয়েছে। বর্তমানে যেভাবে চাকরি দুর্নীতি মামলায় একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে, তা চিন্তার বিষয়। এগুলির উপরে উঠলেই পিসি আর ভাইপোর নাম পাওয়া যাবে। আশা রাখছি, দ্রুত তদন্তকারী সংস্থা দ্বারা দুর্নীতির মূল উৎস বেরোবে।”
উল্লেখ্য, চাকরি দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায়ের নাম সামনে উঠে এসেছে। তাঁর নামে বর্তমানে ১০০ টি কোম্পানির খোঁজ মিলেছে। এত কোটি কোটি অর্থ এবং কোম্পানি কোথা থেকে এলো, সেই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন উঠে গিয়েছে। এদিন সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয় নাকি ঘনিষ্ঠ, সেই প্রসঙ্গে জানিনা। তবে পার্থ যে পরিমাণ টাকার দুর্নীতি করেছে, তার ৭৫ ভাগ পিসি আর ভাইপোর কাছে পৌঁছে গিয়েছে। আর ২৫ ভাগ অপা সিন্ডিকেটের কাছে।”
এরপরেই তিনি বলেন, “যেভাবে রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতি মামলা সামনে উঠে আসছে, তা অত্যন্ত চিন্তার। এছাড়াও সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হওয়ার পিছনে রয়েছে মমতা মুখোপাধ্যায়ের উস্কানি।” উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রসন্ন রায়ের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে সিবিআইয়ের হাতে। তাঁর ১০০ টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়ার পাশাপাশি কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছে তদন্তকারী অফিসাররা আর এর মাঝে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য বিতর্ক আরো বহু গুনে বাড়িয়ে দিলো।