‘আদালতের রায় ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা?’ ওবিসি-ইডব্লিউএস নিয়ে মমতা সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু

Published on:

Published on:

Suvendu Adhikari slams Mamata over EWS quota

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২৪ সালের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ওবিসি তালিকা থেকে বাদ পড়ে রাজ্যের ৭৫টি মুসলিম সম্প্রদায়। অভিযোগ ছিল, শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে তাদের সংরক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। এবার ওই একই সম্প্রদায়কে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণী হিসেবে ফেরানো হচ্ছে—এই অভিযোগ তুলে নিজের ফেসবুক পোস্ট থেকেই প্রকাশ্যে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

‘ইডব্লিউএসের (EWS) নামে সংরক্ষণ দখলের ছক’, লিখিত অভিযোগ রাজ্যপালের কাছে

শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, “যাঁরা প্রকৃত অর্থে জেনারেল ক্যাটাগরির (General category) EWS কোটা পেয়ে আসছিলেন, তাঁদের অধিকারেই ভাগ বসবে এই সম্প্রদায়। এটা সংবিধানবিরোধী কাজ।” তাঁর দাবি, রাজ্য সরকার আদালতের রায় ঘুরিয়ে দিতে চাইছে। আর এই ‘অনৈতিক অভিসন্ধি’র বিরুদ্ধে তিনি রাজ্যপালের কাছে লিখিত অভিযোগ (formal complaint) জমা দিয়েছেন। তিনি আরও লেখেন, “যদি আমরা কোনও রাজনৈতিক প্রভাব খাটাতাম, তাহলে ওবিসি থেকে বাদ পড়া গোষ্ঠীগুলিকে EWS-এর মোড়কে ফের সুযোগ দিতাম না। এই সরকার ঠিক সেটাই করছে।”

সংরক্ষণের ভিতেই রাজনীতি? প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

ফেসবুক পোস্টে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) অভিযোগ করেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে সংরক্ষণ ব্যবস্থার কাঠামো বিকৃত করছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে গরিবদের প্রাপ্য সুযোগ কোনও ধর্মীয় গোষ্ঠীর ভোটব্যাঙ্কে পরিণত হচ্ছে।” তাঁর মতে, এই সিদ্ধান্ত আসলে ‘ব্যাকডোর এন্ট্রি’। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “হাইকোর্টের রায় কি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কোনও মূল্য রাখে না?” তাঁর পোস্ট ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

Suvendu Adhikari slams Mamata over EWS quota

আরও পড়ুনঃ হাইকোর্টে মুখবন্ধ খামে জমা পড়ল তদন্ত রিপোর্ট, ‘ফাঁস’ হবে গোপন তথ্য? কসবাকাণ্ডে বড় মোড়

এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই রাজ্যের EWS কাঠামো ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। রাজনৈতিক নেতারা ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট, ভিডিও বক্তব্য ইত্যাদি ছড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার শুরু করেছেন। একাংশের মতে, এভাবে সংবিধানকে পাশ কাটিয়ে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করা হচ্ছে। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) পোস্টে সংলগ্ন রাজ্যপালকে পাঠানো চিঠিও তুলে ধরা হয়। এখন দেখার, এই অভিযোগের ভিত্তিতে আদৌ হস্তক্ষেপ করেন কি না রাজভবন।