বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে শেষ মুহূর্তের প্রচারে সভা, জনসভায় মেতে উঠেছে শাসক বিরোধী উভয়েই। সোমবার হুগলির (Hooghly) পুরশুড়ায় পশ্চিমপাড়ার বিশাল সভা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই অবাক কাণ্ড। একেবারে কুন্তল-শান্তনুর (Kuntal Ghosh-Santanu Banerjee) ছবি তুলে শাসকদলকে নিশানা নন্দীগ্রামের বিধায়কের।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে এই হুগলি থেকেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষ। এদিন ভরা সভায় সেই কুন্তল-শান্তনুর এক ছবি তুলে শুভেন্দুর প্রশ্ন, “চেনেন এ দু’টোকে। একটা শান্তনু, একটা কুন্তল। পশ্চিমবাংলায় চাকরি বেচে দিয়েছে। পুরশুড়ায় বড় বড় চোর আছে। চোর ধরো চোর ভরোই লক্ষ্য। এক ইঞ্চি জায়গাও ছাড়া হবে না।”
প্রসঙ্গত,নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে চলতি বছর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূলের দুই যুবনেতা (বর্তমানে বহিষ্কৃত) কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দুজনকে গ্রেফতারির পর থেকেই একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে ইডির হাতে। আর ঘটনাচক্রে কুন্তলের চিঠি মামলায় জড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। সেই নিয়েই জোর চৰ্চা বঙ্গজুড়ে। আর এরই মাঝে এবার বিরোধী দলনেতার মুখেও এই দুই তৃণমূল নেতার নাম।
সভায় দাঁড়িয়ে ‘চোর চোর চোর ধরো, জেল, জেল, জেল ভরো’ স্লোগানও তোলেন বিরোধী দোলনেতা। এদিন নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি শুভেন্দু আরও অভিযোগ তুলে বলেন, “পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজে যারা দুর্নীতি করে, টাকা চুরি করেছে। তাদের পঞ্চায়েত ভোটের পর জেলে ঢোকানো হবে।”
রাজ্যে বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা করতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। শুভেন্দুর কথায়, একবার বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যে সবার আগে চুরির তদন্ত হবে। আর বিজেপির প্রধানরাই সেই এফআইআর করবেন বলেও মন্তব্য করেন শুভেন্দু।