বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা এবং সাম্প্রতিক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষিতে আগের কর্মসূচি বদলে ফেললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিক্ষোভ মিছিল না করে তিনি শান্তিপূর্ণ ভাবে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শুক্রবার বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) জানান, তিনি আগেই ঘোষণা করেছিলেন যে ২৬ তারিখ দেখা করতে না দেওয়া হলে বড় আকারে বিক্ষোভ করবেন। তবে পরে তিনি বলেন, “বিলম্বে বোধদয় ঘটেছে।” সাংবাদিকদের সামনে একটি চিঠি তুলে ধরে তিনি জানান, শুক্রবার বিকেল ৪টেয় বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন। সেই কারণেই বিক্ষোভ কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। শুভেন্দু স্পষ্ট করে বলেন, যাঁদের আসার ইচ্ছা রয়েছে তাঁরা আসতে পারেন, তবে দূরে থাকবেন। তিনি পুরো বিষয়টি শান্তিপূর্ণ ভাবেই করতে চান।
ডেপুটি হাই কমিশনের অফিসে যাওয়ার মূল কারণ হিসেবে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) তুলে ধরেন বাংলাদেশের ময়মনসিংহের ঘটনা। সম্প্রতি সেখানে মৌলবাদীদের হাতে মৃত্যু হয় দীপু চন্দ্র দাসের। একটি কারখানার সাধারণ কর্মী ছিলেন দীপু দাস। তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। প্রথমে গণপিটুনি দিয়ে তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। এরপর গাছে বেঁধে দেহ জ্বালিয়ে উল্লাস করে উগ্রবাদীরা। এই নৃশংস ঘটনা ঘিরে দুই বাংলাতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
এই ঘটনার পর দীপু দাসের মৃত্যুর ঘটনায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানতেই ডেপুটি হাই কমিশনের অফিসে যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘুদের স্বার্থে তিনি এই বিষয়টি সরাসরি তুলে ধরতে চান।

আরও পড়ুনঃ শিক্ষক নিয়োগে নতুন মোড়, SSC-র পর এবার প্রাথমিক নিয়েও তোড়জোড়, কবে থেকে ইন্টারভিউ?
জানা গিয়েছে, এই যাত্রায় শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সঙ্গে থাকবেন মোট পাঁচ জন সাধুসন্ত। তাঁরা হলেন, স্বামী মহাকাল গিরি, সঞ্জয় শাস্ত্রীজি, সর্বানন্দ অবদূতজি, শঙ্কর হেলাজি এবং কৃষ্ণা মাতাজি। শান্তিপূর্ণ ভাবেই পুরো কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিরোধী












