‘তৃণমূলে ফেরার আবেদন করবেন শুভেন্দু, তাই ঘুরঘুর শুরু…’, এবার বড় বোমা ফাটালেন কুণাল ঘোষ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গের দুয়ারে কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। তার আগে পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে আটঘাট বেঁধে ময়দানে নেমেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। এই আবহেই এবার দলের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) পাড়ায় কর্মসূচি নেওয়ার পরামর্শ দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রয়োজনে তিনি নিজেও সেই কর্মসূচিতে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। একসময় ছিলেন তৃণমূলে, এবার প্রধান বিরোধী দলের হয়ে যেতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রীর দুয়ারে, এই নিয়েই শুরু জোর চর্চা।

মঙ্গলবার কলকাতার ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের রাজস্থান ভবনে দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের প্রবাস কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেখানেই মমতা-অভিষেকের পাড়ায় যাওয়ার কথা বলেন। তার মতে, মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেকের পাড়ার সাধারণ মানুষ তৃণমূলের উপর রীতিমতো ক্ষুব্ধ। তবে কোনও বিকল্প না পাওয়ায় শাসকদলের বিরুদ্ধে কেউ ‘ভয়ে’ মুখ খুলতে পারছেন না। দলের কর্মীদের বার্তা দিয়ে শুভেন্দু বলেন, ওই দুই জায়গায় বিজেপির কর্মসূচী বাড়াতে হবে।

শুভেন্দু আরও বলেন, কেবল কোনো ভোটের আগে নয়, গোটা বছর ধরে সেখানে রাজনৈতিক কর্মসূচী চালাতে হবে। তবেই মানুষের ভয় কাটবে, মানুষ ভরসা পাবেন। আর এসব না হলে একটা ওয়ার্ডেও জয়লাভের মতো জায়গায় থাকবে না। শুধু তাই নয়, এরপরেই দলীয় কর্মীদের তিনি আশ্বাস দিয়ে জানান, যদি কোনো রকম ভয়ের পরিবেশ থাকে তাহলে প্রয়োজনে তিনি নিজে প্রচারে যাবেন কর্মীদের সাথে।

যেসব জায়গাগুলিতে তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে সমস্যা বা বিরোধ রয়েছে, সেই এলাকা গুলি টার্গেট করে বিজেপিকে রাজনৈতিক ভাবে জমি তৈরি করতে হবে বলেও বার্তা দিয়েছেন দলনেতা। যদিও বিরোধী দলনেতার এই সকল পন্থাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল।

suvendu kunal

এই বিষয়ে বড় দাবি করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, ‘‘শুভেন্দু ব্যক্তিকেন্দ্রিক, প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন। যে দিন বিজেপি গাড্ডায় পড়বে, সে দিন উনিই প্রথম দুয়ারে সরকারের ফর্‌ম ভরে মমতাদি’র কাছে তৃণমূলে ফেরার আবেদন করবেন! তাই আগে থেকে বাড়ির সামনে ঘুরঘুর শুরু করতে চাইছেন!”


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর