অনুগামীদের ভোটদান প্রভাবিত করে রামকৃষ্ণ মিশন? এবার ‘আসল সত্যি’ ফাঁস করলেন স্বামী সুবীরানন্দ

   

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের আবহে রামকৃষ্ণ মিশন (Ramakrishna Mission), ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই প্রতিষ্ঠানগুলির ‘রাজনীতি’ যোগের অভিযোগ এনেছেন তৃণমূল নেত্রী। ভোটের আবহে তা নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে। পক্ষে-বিপক্ষে তৈরি হয়েছে হাজার মত। সত্যি সত্যিই কি অনুগামীদের ভোটদান প্রভাবিত করে রামকৃষ্ণ মিশন? এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন রামকৃষ্ণ মিশন এবং রামকৃষ্ণ মঠের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ।

সম্প্রতি একটি নির্বাচনী সভা থেকে রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ, ইসকনের ‘রাজনীতি’ যোগ নিয়ে মুখ খোলেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী। সরাসরি ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্তিক মহারাজের নাম নিয়ে তাঁকে নিশানা করেন মমতা। এরপর রামকৃষ্ণ মিশন নিয়েও বেশ কিছু কথা বলেন তিনি।

তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘রামকৃষ্ণ মিশনকে প্রত্যেকে সম্মান করে। ওঁদের কাছে একটা হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। ওঁদের যারা সদস্য হয় তাঁদের নাম, যারা দীক্ষা গ্রহণ করে। রামকৃষ্ণ মিশন কখনও ভোট দেয় না, এটা আমি জানি। কিন্তু তাহলে আমি কেন অন্যকে ভোট দিতে বলব? সবাই ভায়োলেট করেনি, কেউ কেউ করেছে’।

আরও পড়ুনঃ কলকাতায় এসে ‘খুন’ বাংলাদেশের সাংসদ! নিউটাউন থেকে উদ্ধার মৃতদেহ, তোলপাড় দুই বাংলা!

ভোটের আবহে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে ঘিরে তীব্র জলঘোলা হয়েছে। এবার এই পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন স্বামী সুবীরানন্দ। জনপ্রিয় একটি সংবাদসংস্থার কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘রামকৃষ্ণ মিশন একটি অরাজনৈতিক সংস্থা। স্বামীজির নির্দেশ মেনে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কোনও সন্ন্যাসী ভোট দেয় না। কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাঁরা অংশগ্রহণ করে না’।

Ramkrishna Mission Swami Suvirananda Maharaj

নিজেরা ভোট না দিলেও, অনুগামীদের ভোটদানে কি তাঁরা প্রভাব বিস্তার করে? এর উত্তরে স্বামী সুবীরানন্দ বলেন, ‘এই বিষয়ে আমরা তাঁদের কোনও পরামর্শ দিই না। আমরা তাঁদের কোনও নির্দেশও দিই না। ওনারা নিজেদের ইচ্ছে মতো স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। একইসঙ্গে রামকৃষ্ণ মিশন এবং রামকৃষ্ণ মঠের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রামকৃষ্ণ মিশন একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। মিশন মানুষের জন্য কাজ করে। নিঃস্বার্থভাবে মানুষের জন্য কাজ করাই আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর