অবশেষে ইস্তফা দিলেন রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাসগুপ্ত। গত রবিবার তৃতীয় ও চতুর্থ দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে বিজেপি। সেই তালিকায় স্থান পেয়েছিল লোকসভা ও রাজ্যসভার একাধিক সাংসদ। সেই মত তারকেশ্বরের আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী ঘোষণা করেছিল স্বপন দাসগুপ্তকে। তবে আইন অমান্য হতে চলা এই আসন নিয়ে স্বপন দাসগুপ্তের ইস্তফার দাবি করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
খবর অনুযায়ী, ভোটে লড়াই করতে আগামী ১৯ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন তিনি। উনি যদি ইস্তফা না দিতেন, তাহলে রাজ্যসভার সদস্যপদ খারিজ হয়ে যেত। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের এপ্রিলে স্বপনকে রাষ্ট্রপতি রাজ্যসভায় মনোনীত করেছিলেন। তবে রাজ্যসভার সাংসদ পদ পাওয়ার ৬ মাস পর কেউ কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দিলে তার সদস্য পদ বাতিল হয়ে যায়। তাই বিজেপিতে যোগ দিয়ে তাকে প্রার্থী হওয়ার জন্য তার সদস্য পদ বাতিল হওয়া উচিত বলে টুইট করেছিলেন মহুয়া মৈত্র।
যদিও তৃণমূল সাংসদের এহেন দাবির প্রসঙ্গে স্বপন দাসগুপ্ত জানিয়ে ছিলেন , “বর্তমানে আমি এখন নির্বাচনী প্রচারে কাজে ব্যস্ত রয়েছি। রাজ্যসভা থেকে চিঠি আমার কাছে এলে তখন অবশ্যই প্রতিক্রিয়া দেব” এরই মধ্যে তার ইস্তফাকে রাজনৈতিক মহল মহুয়ার সতর্কতার ফল হিসেবে দেখছেন। স্বপন দাসগুপ্তের ইস্তফা পত্র রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুর কার্যালয় পেয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে গত কয়েকদিন ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী পদ বাতিলের দাবি তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। মমতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ফৌজদারী মামলার তথ্য গোপন করার। ইতিমধ্যেই সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে মমতার প্রার্থী পদ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বঙ্গ বিজেপি (BJP)।