স্বপ্নার স্বপ্নপূরণ! দুই পায়ের অতিরিক্ত আঙুল, পিঠের যন্ত্রণা নিয়েই দেশকে পদক এনে দিলেন বঙ্গকন্যা

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ট্র্যাকে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন স্বপ্নার। থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককে আয়োজিত এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে (Asian Athletics Championship) সোনা হাতছাড়া হলেও রুপো জিতলেন বঙ্গ কন্যা স্বপ্না বর্মণ (Swapna Barman)। মেয়েদের হেপ্টাথলনে ইভেন্টে বাংলার অ্যাথলিট চ্যাম্পিয়ন উজবেক খেলোয়াড়ের থেকে ২৫৮ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছেন। তিনি ৫৮৪০ পয়েন্ট নিয়ে শুধুমাত্র রৌপ্য পদক জয় নিশ্চিত করতে পেরেছেন

উত্তরবঙ্গের মেয়ে হলেও স্বপ্না একজন ক্রীড়াবিদ হিসাবে বাংলা ছেড়েছিলেন গত বছরের অক্টোবরে। এই ক্রীড়াক্ষেত্রে তিনি রাজ্যকে এর আগেও অনেক সম্মান এনে দিয়েছিলেন। যারা জানেন না তাদের জন্য বলে রাখা হলো যে এই হেপ্টাথেলন ইভেন্টটি হলো ১০০ মিটার হার্ডলস, হাই জাম্প, লং জাম্প, শট প্যুট, ২০০ মিটার দৌড়, জ্যাভলিন থ্রো ও ৮০০ মিটার দৌড়়- এই ৭টি ইভেন্টের মিলিত ফল। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দুই পর্যায়েই এই খেলায় সাফল্য পেয়েছেন স্বপ্না।

গত বছর অনেক অভিমান নিয়ে বাংলা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন স্বপ্না। তিনি যখন এশিয়ান গেমসে সোনা জিতে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন তখন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে চার কাঠা জমি পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি রাজ্য সরকার। সেই নিয়ে ক্ষোভ ছিল বাঙালি ক্রীড়াবিদের মনে।

Swapna Barman

অনেকেই জানেন না যে তার দুই পায়ে ৬টি করে আঙুল। তার সুবিধার জন্য একটি ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থা স্বপ্নার জন্য একপ্রকার বিশেষ জুতো তৈরি করে থাকে। তবে স্বপ্নার এই পায়ের বৈশিষ্ট্যের জন্য তাকে একাধিকবার ভুগতে হয়েছে।

মাঝে অবসর নেবেন বলেও ঠিক করে ফেলেছিলেন। কিন্তু পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে গুরুত্বপূর্ণ রেসের দিন তার পিঠে ছিল অসহ্য যন্ত্রণা। কিন্তু সেই যন্ত্রণাকে উপেক্ষা করে এই দেশকে পদক এনে দিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন এরপর কতদূর তিনি খেলতে পারবেন সে সম্পর্কে তার ধারণা নেই। পিঠের যন্ত্রণা তাকে মারাত্মক রকম ভাবে ভোগাচ্ছে। মাঝে কিছুদিন সিড়ি দিয়ে উঠতেও সমস্যা হচ্ছিল তার। হয়তো আসন্ন এশিয়ান গেমসই তার শেষ প্রতিযোগিতা হয়ে দাঁড়াবে একজন খেলোয়াড় হিসেবে।

 

Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর