বাংলাহান্ট ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবার ভিন্ন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড চালু করল পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য। এই কার্ডের মাধ্যমে ভিন রাজ্যে কর্মরত বাংলার শ্রমিক-মজদুররা সেখানকার হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারবেন। শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে জনজাতি, সম্প্রদায় এবং বিভিন্ন উন্নয়ন বোর্ডের সাথে করা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথা জানিয়েছেন মঙ্গলবার। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ২৮ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ”আমাদের অনেক শ্রমিক-মজদুর রয়েছেন, যাঁরা বাইরে (অন্য রাজ্যে) কাজ করেন। আজ থেকে ওঁদের হাতে একটা আলাদা স্বাস্থ্যস্বাথী কার্ড দিচ্ছি। এঁরা বাইরে কাজ করেন। যখন শরীর খারাপ হয়, তখন ঘরে খবর পাঠান। যে ঘরের মানুষ তা ভাববে, দেখবে। কিন্তু তাঁদের চিকিৎসা করানোর টাকা থাকে না। আমাদের ২৮ লক্ষ বাইরে কাজ করে এমন শ্রমিক-মজদুরদের জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আলাদা ভাবে দিচ্ছি।”
আরোও পড়ুন : নামল হলুদ ধাতুর দর! মুখে হাসি মধ্যবিত্তের, কত টাকায় বিকোচ্ছে রূপো ? দেখুন আজকের রেট
বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এই বিষয়ে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘‘সিএএ চালু হওয়ায় অনেক ভোট হারাবেন বুঝতে পারছেন। সে জন্য এ সব বলে পরিযায়ীদের সঙ্গে রাখার চেষ্টা করছেন। এ সব ভাঁওতা। গোটা দেশে ব্যবহারের জন্য যে কার্ড, সেটা আয়ুষ্মান ভারত। সেটা চালু করতে দেননি। ওঁদের কার্ড এ রাজ্যেই কাজ করে না! বাইরে কী ভাবে কাজ করবে?’’
আরোও পড়ুন : কপাল খুলতে চলেছে কর্মপ্রার্থীদের! এবার বাঁকুড়ায় হবে চাকরি, ইন্টারভিউতে পাশ করলেই বাজিমাত
সূত্রের খবর, গত রাজ্য বাজেটে (২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের জন্য) প্রস্তাব করা হয় পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্য বিমার। তারপর সেটি পাশ করানো হয় রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে। প্রশাসনিক কর্তারা বলছেন, এই কার্ডে পরিবার পিছু বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা বিমার সুবিধা থাকবে। ‘ইনশিয়োরেন্স’-এর বদলে ‘অ্যাশিয়োরেন্স’ ভিত্তিতে এই কার্ডের পরিষেবা দেওয়া হবে।
সেক্ষেত্রে পুরো সিস্টেম চালানোর জন্য থার্ড পার্টির ব্যবহার হতে পারে। পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম বলছেন, বাংলা থেকে যারা ভিন রাজ্য কাজ করতে যান তাদের মধ্যে ২২ লক্ষের নাম নথিভুক্ত রয়েছে। বাকিদের নাম নথিভুক্ত করার কাজ চালানো হচ্ছে।