বাংলাহান্ট ডেস্ক : পঞ্চায়েত ভোটকে লক্ষ্য করে সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু জনমুখী প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হল স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করব স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে একটি বিশেষ পরিবর্তনকে নিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ আসছিল যে স্থানীয় ও মাঝারি কিছু নার্সিংহোম স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে জালিয়াতি করছে।
এমনকি স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) কার্ড দেখিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে অতীতে। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে বারবার অস্বস্তিতে পড়েছে সরকার। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে যাতে মানুষের মধ্যে অযথা রোষ না ছড়ায় সে বিষয়ে তৎপর হল নবান্ন। নবান্নে তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বড় হাসপাতাল ছাড়া অন্যান্য কোনও হাসপাতাল থেকে আর স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর মাধ্যমে কেমোথেরাপি নেওয়া যাবে না। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর মাধ্যমে রেডিয়েশন থেরাপি এবং নিউক্লিয়ার মেডিসিন থেরাপির জন্য ক্যান্সার চিকিৎসা পদ্ধতির হার সম্প্রতি নির্ধারণ করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য সাথীর অধীনে কেমোথেরাপির ওষুধ শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতাল ও বিশেষ কিছু বেসরকারি হাসপাতালে অনকোলজি ইউনিট দ্বারা নির্ধারিত হবে। রেডিয়েশন অনকোলজি, সার্জিকাল অনকোলজি এবং মেডিকেল অনকোলজির সুবিধা রয়েছে এমন হাসপাতালই এই কাজ করতে পারবে।
স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্মকর্তার কথায়, কেমোথেরাপির (Chemotherapy) ব্যয় বহুল ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার কম করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর জানতে পেরেছে ওরাল ও ইনজেকশনযোগ্য কেমোথেরাপির ওষুধের ব্যবহার সাম্প্রতিক সময় অনেকটা বেড়ে গেছে।