বাংলাহান্ট ডেস্ক : একটা সময় সাধারণ ভারতীয়দের বিনিয়োগের বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যম ছিল ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিট অথবা রেকারিং ডিপোজিট বা পোস্ট অফিসের এমআইএস। তবে গত কয়েক বছরে ভারতীয়দের মধ্যে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের প্রবণতা বেড়েছে অনেকটাই। এখনো পর্যন্ত প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে এসআইপিতে (Systematic Investment Plan)।
এসআইপিতে (Systematic Investment Plan) লাভ
এই বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের পিছনে কারণ হল ভালো রিটার্ন। মিউচুয়াল ফান্ডে (Mutual Fund) অল্প টাকা বিনিয়োগ করেও মেলে মোটা ও ভালো রিটার্ন। ব্যাংক বা পোস্ট অফিসের ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের থেকে অনেকটাই বেশি রিটার্ন পাওয়া যায় মিউচুয়াল ফান্ডে। কিছু আর্থিক বিশেষজ্ঞের মতে, প্রতিদিন ১০০ বা ৫০০ টাকা করে মিউচুয়াল ফান্ডে জমালেও হওয়া যায় কোটিপতি।
আরোও পড়ুন : ‘NO MEANS NO..’ RG Kar ইস্যুতে তোলেন স্লোগান! চর্চিত এই কন্যার পরিচয় কী? বাংলার ছাত্রী নন কিন্তু!
তবে তার জন্য জানতে হবে এই বিনিয়োগ পদ্ধতি। ধরা যাক এক ব্যক্তি এসআইপিতে (Systematic Investment Plan) প্রতিদিন ১০০ টাকা করে জমাতে শুরু করলেন। তাহলে প্রতি মাসে সামগ্রিকভাবে তিন হাজার টাকা করে ওই ব্যক্তি জমাচ্ছেন এসআইপিতে (SIP)। গড়ে ১২% পর্যন্ত রিটার্ন পাওয়া যায় দীর্ঘ মেয়াদী এসআইপিতে (Systematic Investment Plan)।
আরোও পড়ুন : চিন্তার দিন শেষ! এবার স্বস্তি পাবেন বয়স্করা! ঘরে আসবে মোটা টাকা, পেনশন নিয়ে নয়া আপডেট
প্রতি মাসে যদি ৩ হাজার টাকা করে এসআইপিতে জমানো যায় তাহলে ৩০ বছরে মোট জমবে ১০,৮০,০০০ টাকা। ১২ শতাংশ বার্ষিক গড় রিটার্ন হলে সুদ বাবদ মিলবে ৯৫,০৯,৭৪১ টাকা। সুদ ও আসল মিলিয়ে ওই ব্যক্তি হয়ে যাবেন প্রায় ৩ কোটি টাকার অধিকারী। ধরা যাক কেউ প্রতিদিন ৫০০ টাকা করে বিনিয়োগ করছেন এসআইপিতে (Systematic Investment Plan)।
তাহলে ওই ব্যক্তি প্রতি মাসে এসআইপিতে বিনিয়োগ করছেন ১৫০০০ টাকা। সেক্ষেত্রে ১২ শতাংশ বার্ষিক গড় রিটার্ন এলে ১৭ বছরের মধ্যে তিনি কোটিপতি হয়ে যাবেন। SIP ক্যালকুলেটর অনুযায়ী, ১৭ বছরে মোট ৩০,৬০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করবেন ওই ব্যক্তি। সুদ বাবদ তিনি পেতে পারেন ৬৯,৫৮,৮১২ টাকা। অর্থাৎ ১৭ বছর পর ওই ব্যক্তির তৈরি হয়ে যাবে ১,০০,১৮,৮১২ টাকার ফান্ড।
বিপিএন ফিনক্যাপ-এর ডিরেক্টর অমিত কুমার নিগমের কথায় , “এসআইপি অর্থাৎ সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান হল, মিউচুয়াল ফান্ডে নিয়মিত বিনিয়োগ করার সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি। এতে বিনিয়োগকারীরা বৈচিত্র, চক্রবৃদ্ধি এবং রুপির গড় ব্যয়ের সুবিধা পান। এতে ঝুঁকি রয়েছে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।’’