এক পরিবার থেকে বিশ্বকাপ ফাইনালে দুই জন হলেন ম্যাচের সেরা, একজন রাজ বাওয়া, অপরজন কে?

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার রাজ বাওয়ার পরিবারের রক্তে রয়েছে খেলাধুলা। রাজের দাদু তারলোচন সিং ছিলেন স্বাধীন ভারতের হকি দলের একজন ফুলব্যাক, যেই দল ১৯৪৮ সালের অলিম্পিকে জয়ী হয়েছিল। ফাইনালে গ্রেট ব্রিটেনের বিপক্ষেও গোলও করেছিলেন তিনি। রাজের বাবা সুখবিন্দর বাওয়া কিংবদন্তি যুবরাজ সিংয়ের কোচ ছিলেন। কিন্তু নিজে পিঠের চোটের কারণে উচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেট খেলতে পারেননি তিনি। শুধু তাই নয়, শনিবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে রাজ যে কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন, একই কৃতিত্ব করেছিলেন সুখবিন্দরের ভাগ্নে এবং রাজের খুড়তুতো ভাই ঋতিন্দর সিং সোধি।

reetinder singh

২২ বছর আগে ২০০০ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালের ভারতীয় দলে ছিলেন তিনি। সেই ফাইনালে ম্যান অফ দ্য ম্যাচও হয়েছিলেন তিনি। ২২ বছর পরে, তার ভাই রাজ বাওয়া এই গৌরব অর্জন করলেন। ঋতিন্দর সিং পরবর্তীকালে ভারতের হয়ে ১৮ টি একদিনের ম্যাচ খেলে ২৮০ রান করে এবং ৫ টি উইকেট নিয়েছিলেন। সোধির বাবা মহেশ ইন্দর সিং পাঞ্জাবের হয়ে রঞ্জিও খেলেছিলেন। তিনি পাঞ্জাবের হয়ে ৫৫ টি ম্যাচে প্রায় ২২-এর গড়ে ১৫৮ টি উইকেট নিয়েছেন। রাজ অঙ্গদের বাবা সুখবিন্দর এবং মহেশ ইন্দর খুড়তুতো ভাই। সেই মহেশ জানিয়েছেন যে একজন ভাল ক্রিকেটার হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে পিঠের চোটের কারণে সুখবিন্দর ক্রিকেট খেলতে পারেননি। কিন্তু কোচ হয়ে যুবরাজ সিংয়ের মতো ক্রিকেটার দেশকে উপহার দিয়েছেন তিনি।

মহেশের মতে, রাজ যখন বড় হয়ে ক্রিকেটের দিকে ঝুঁকে পড়েন, তখন তিনি প্রায়ই সুখবিন্দরকে তার ছেলের খেলায় প্রতি আরও মনোযোগ দিতে বলতেন। তার ছেলে নিজের দাদু তারলোচন সিংয়ের মতো তার পরিবারের নাম আলোকিত করার প্রতিভা রাখে বলে বিশ্বাস করতেন মহেশ। তিনি চাইতেন সুখবিন্দর, যুবরাজ সিংয়ের কোচ হিসেবে নয়, নিজের ছেলের বাবা হিসেবে পরিচিত হোক। সুখবিন্দর চেষ্টা করেছেন এবং আজ ফলও পেয়েছেন।

ঋতিন্দর সোধি বলেছেন যে তিনি গর্বিত যে দুইজন ম্যান অফ দ্য ম্যাচ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট একই পরিবার থেকে এসেছেন৷ সোধি ২০০০ বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৪৩ বলে অপরাজিত ৩৯ রান করেছিলেন এবং ১০ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে কৃপণ বোলিং করেছিলেন।


Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর