তুরস্কের পর তাজাকিস্তান! শেষ রাতে ভয়ংকর ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মাটি! তীব্রতা ৬.৮, আতংকে বিশ্ব

বাংলা হান্ট ডেস্ক : তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পের (Turkey-Syria Earthquake) ক্ষত এখনও সেরে ওঠেনি। এরই মধ্যে আরও একবার কেঁপে উঠল পৃথিবী। এবার ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তাজিকিস্তান (Tajikistan)। বৃহস্পতিবার ভোরে ভূমিকম্প হয় পূর্ব তাজিকিস্তানে। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৮। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল আফগানিস্তান ও চিনের সীমান্তের মাঝামাঝি ভূখণ্ডে।

অবশ্য এই ভূমিকম্পের জেরে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায় নি। তবে কম্পনের মাত্রা অনেকটাই বেশি থাকায় সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। মূল ভূমিকম্পের পরও বেশ কয়েকবার তীব্র আফটারশক অনুভূত হয়েছে বলেই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৩৭ মিনিট নাগাদ তীব্র কম্পন অনুভূত হয় পূর্ব তাজিকিস্তানে। ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেল অনুসারে ছিল ৬.৮। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২০.৫ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল বলে জানতে পেরেছেন ভূবিজ্ঞানীরা। ভূমিকম্প হয়ে যাওয়ার প্রায় ২০ মিনিট বাদে প্রথম আফটারশক অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এই আফটারশকের মাত্রা ছিল ৫.০। আগামী কয়েক ঘণ্টায় আরও কয়েকটি আফটারশক অনুভূত হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

tajakistan 2

এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল গরনো-বাদাখসান এলাকা। আফগানিস্তান ও চিনের সীমান্তের মাঝামাঝি স্বশাসিত অঞ্চল এটি। পামির মালভূমি দিয়ে ঘেরা এই অঞ্চল খুব একটা জনবহুল নয়। তাই এই কম্পনের জেরে সাধারণ মানুষের প্রাণহানির সম্ভাবনাও খুব একটা নেই। মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পের জেরে ধস নামার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আশার কথা, ওই অঞ্চলে খুব একটা জনবহুল না হওয়ায় হতাহতের সম্ভাবনা প্রায় নেই।

প্রসঙ্গত, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ ভূমিকম্পের কবলে পরে তুরস্ক ও সিরিয়া। রিখটার স্কেলে ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮।  এই শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর প্রায় ১০০ টিরও বেশি আফটারশক হয়, যার জেরে দুই দেশই সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। তুরস্ক-সিরিয়ার এই প্রাণঘাতী ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত ৪৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর