সারা রাত না খেয়ে খালি পেটে আবার বেশি জল খেলেও সমস্যা হতে পারে। কারন অনেকেরই বমির মতন সমস্যা দেখা যায়। তাই ঘুম থেকে উঠেই গ্লাস গ্লাস জল খাওয়া একদম উচিত নয়। মাথায় রাখতে হবে জল বুঝে খেতে হবে। আমাদের শরীরের ৭০%-ই জল দিয়ে তৈরি। তাই জল খাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ন।
কারন শরীরে জল না থাকলে ঠোঁট, মুখ, চামড়া শুকিয়ে যায়, আর কম বয়সেই বার্ধ্যক্যের ছাপ পড়ে যায়।
আর মুখে ব্রন, দাগ, প্যাচ, বলিরেখা, ভাঁজ পড়ে। আর প্রতিদিন ২-৩ লিটার জল খেতে না পারেন তাহলে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। সেই সঙ্গে বুদ্ধি এবং মনযোগ ক্ষমতাও কমে । আর যদি কারো কিডনিতে পাথর থাকে তার ক্ষেত্রে বেশি জল খাওয়া দরকার। শীতকালে জল কম খেলে পায়ে টান ধরে, দেহে জলের পরিমান কমে যায় , ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। মনে রাখা দরকার নদীর জলের থেকে কুয়োর জল খাওয়া বেশি ভালো।নিজের ওজন জেনে জল খেতে হবে। এবারে শরীরে ওজন যত হবে সেই সংখ্যাকে ভাগ করতে হবে ৩০ দিয়ে। জল পরিমান মত না খেলে ত্বকের কোলাজেন ভেঙে ফেটে যায়।
শরীরের সব বর্জ পদার্থ দূর করার জন্যে মনে রাখতে হবে জলের কোনো জুড়ি নেই। জল এতো উপকারী যে সকাল ঘুম থেকে উঠে রাতের বেলা শুতে যাওয়ার পর্যন্ত আমাদের মনে রাখতে জল বেশী করে খেতে হবে। জল খেলে খাবার পাঁচন হয়। আর আমরা যদি ঠিক করে জল না খাই তাহলে জল এর ঘাটতি দেখা যাবে।
জল অভাব দেখা দিলে বমি হবে আর তার থেকেও বড়ো সমস্যা যা তা হলো জল না খেলে শরীরের রুক্ষ ভাব দেখা যাবে। আর তা আমাদের কাছে মৃত্যু সমান। টাই সব কথা মাথায় রেখে বেশী করে জল খেতে হবে মনে রাখতে হবে জল ই জীবন।