বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের (India) অন্যতম শক্তিপীঠ হল তারাপীঠ (Tarapith)। তন্ত্রসাধনার এই পীঠস্থানে সারা ভারতবর্ষ থেকে মানুষ এখানে আসেন শক্তির আরাধনা করতে। আর এই তারা মা’কে সন্তুষ্ট করার জন্য তার পুজোয় বিশেষ কিছু উপাচারেরও প্রয়োজন হয়। সেই উপাচারের তালিকায় কারণ সুধা থেকে শুরু করে বলির পাঁঠার মাংস এমনকি মাছও রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিতর্কিত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এমনটাই জানালেন তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়।
মায়ের পূজার জন্য ব্যবহৃত উপাচার সম্পর্কে একটি সার্বিক ধারণা দেওয়ার পাশাপাশি বলা ভালো একপ্রকার ঘুরিয়েই মহুয়া মৈত্রের বক্তব্যকে স্বীকার করে নিলেন তারাময়বাবু। যদিও তিনি বলেন, “মহুয়া মৈত্রের বক্তব্যের ধরন যদি সঠিক হতো তাহলে এই বিতর্ক সৃষ্টি হতো না”। ধর্ম ব্যাপারে কথাবার্তা বলার ক্ষেত্রে ভাষার সংযোজন সঠিক হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। তার মতে, “ধর্মের বিষয় বা পূজার বিষয় ভাষার সঠিক প্রয়োগ জানা উচিত। তাহলে মানুষের মধ্যে কোনরকম ক্ষোভ সৃষ্টি হয় না।”
সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রের একটি মন্তব্য কে ঘিরে সৃষ্টি হয় বিতর্ক। দেবী কালীকে তিনি ‘মাংস-সুরা ভক্ষণকারী দেবী’ বলে মন্তব্য করেন।অন্যদিকে তার দল তৃণমূল এই মন্তব্যের দায় নিতে না চাইলেও মহুয়াসহ শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে গেরুয়া শিবির।
তারাপীঠে দেবী তারাকে মদ ও মাংস দেওয়া প্রসঙ্গে তারাময়বাবু বলেন, “তারাপীঠে যেমন বৈষ্ণবমতে মা তারাকে অন্নভোগ, খিচুড়ি ভোগ, পাঁচ রকম ভাজা, লুচি, সুজি, পরমান্ন ভোগ দেওয়া হয়। তেমনই তন্ত্রমতে পুজোর জন্য কিছু উপাচার লাগে। যার মধ্যে রয়েছে, কারণ সুধা। এটি ঋষিদের আমল থেকে চলে আসছে।” তবে, কারণ সুধা প্রসঙ্গে মহুয়ার মন্তব্য ধর্মীয়ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে মেনে নিয়ে তার বন্তব্য, “ধর্মের বিষয় সঠিকভাবে ভাষা প্রয়োগ করেই মন্তব্য করা উচিত। তবে সাংসদের গ্রেফতারের ব্যাপারে কে কি বলেছে জানি না। তবে ধর্মের সাথে আবেগ যুক্ত হয়ে আছে। তাই অনেকের মন ক্ষুন্ন হয়েছে। উনি যদি আরেকটু দায়িত্বের সাথে কথা বলতেন তাহলে কোন রকম বিতর্ক হতো না।” তবে এবার, তারাপীঠের সাধকের বক্তব্য সামনে আসার পর আরোও খানিকটা বিতর্কের আঁচ বাড়ল একথা বলাই বাহুল্য।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা