বাংলাহান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জি ও বাংলাদেশি অভিনেত্রী তথা সমাজকর্মী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। বিয়েটা যেমন চুপিসারে করেছেন তেমনই বিয়ের পরদিনই পাড়ি দিয়েছেন সুইজারল্যান্ড মধুচন্দ্রিমার উদ্দেশে। তারপর দেশে ফিরেই সোজা চলে দিয়েছেন শ্বশুরবাড়ি বাংলাদেশ। সেখানে আয়োজন ছিল এলাহি ভূরিভোজের। বা বলা ভাল অফিশিয়াল জামাই আদরের। সেই ভোজের মেনুও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন সৃজিত। আয়োজনে গোমাংসের পদ থাকায় নানা কখাও শুনতে হয়েছে তাঁকে। এবার সেই নিয়ে মুখ খুললেন প্রখ্যাত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
সৃজিতের শ্বশুরবাড়ির মেনু দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “ সৃজিতের শ্বশুরবাড়ি বাংলাদেশে, প্রথম জামাই খাওয়ানোটা আরও ভাল হতে পারত। ছবি আর মেনু দেখে আমি তো হতাশ। বাংলাদেশের লোকেরা তো বাইশ পদ রান্না করে আমি জানতাম। পমফ্রেট ভাজা কোথায়? সর্ষে ইলিশ কোথায়? চিংড়িকর মালাইকারি কোথায়? খাসির মাংস কোথায়? কাচ্চি বিরিয়ানি কোথায়? ধ্যাত কোনও মানে হয়? ”
প্রসঙ্গত, সৃজিতের প্রথম জামাই আদরের মেনুতে ছিল ঝিরিঝিরি আলুভাজা, লইট্যা শুটকি, ডাল, পাবদা মাছ, মুরগির ঝোল ও বাঁধাকপি দিয়ে গোরুর গোশত। এই মেনু দেখেই হতাশ হয়েছে তসলিমা। বাংলাদেশের অতিথি আপ্যায়নের নির্দশন দিয়ে তিনি বলেন, আরও কতকগুলি পদ যোগ করলে সৃজিতের প্রথম ভূরিভোজটা আরো জমত।
তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও সৃজিতের বিয়ের প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন তসলিমা নাসরিন। সৃজিত-মিথিলার বিয়ের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, এ শুধু হিন্দু মুসলিমের বিয়ে নয়, দুই বাংলার মধ্যে মেলবন্ধনও বটে। এসব যত ঘটবে তত উড়বে ধর্ম, ঘুচবে সংস্কার, ছিঁড়বে কাঁটাতার, মরবে বিদ্বেষ। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে সৃজিতের আগামী ছবি ‘দ্বিতীয় পুরুষ’-এর মুক্তি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন পরিচালক। ‘বাইশে শ্রাবণ’এর সিকুয়েল এই ছবি।