বাংলাহান্ট ডেস্ক: মৃত্যু চিন্তায় পেয়েছে তসলিমা নাসরিনকে (Taslima Nasrin)। হাসপাতালের বেডে শুয়ে একের পর এক অদ্ভূত পোস্ট করে চলেছেন প্রখ্যাত লেখিকা। কখনো অতীতের স্মৃতিচারণা করছেন, আবার তার মধ্যেই ঘুরেফিরে আসছে মৃত্যুর কথা। শুধু তাই নয়, মরণোত্তর দেহদানের কথাও একাধিক বার উঠে এসেছে তাঁর লেখায়।
রবিবার রাতে হঠাৎ করেই লেখিকাকে হাসপাতালের বেডে শায়িত অবস্থায় দেখে চমকে গিয়েছিলেন নেটিজেনরা। তাঁকে দেখেই বোঝা গিয়েছিল, বেশ অসুস্থ তিনি। কিন্তু তসলিমার কী হয়েছে তা স্পষ্ট হয়নি এখনো। হঠাৎ মৃত্যু নিয়েই বা এত চিন্তিত হয়ে পড়লেন কেন তিনি? মেলেনি উত্তর।
সম্প্রতি একটি পোস্টে তসলিমা লিখেছেন, ‘এক মুহূর্তে একটি মৃত্যু ঘটেছিল। সেই মৃত্যু আমার উচ্ছল উজ্জ্বল জীবনকে গ্রাস করে নিয়ে একটি স্তব্ধ স্থবির জীবন ফেলে রেখে গেছে। এই জীবনটি আমার নয়, অথচ আমার। সেই মৃত্যুতে কেঁদেছিল আমার বোন। বোনের অনেকে আছে, পরিবার পরিজন। বোনের চোখের জল ছাড়া আমার সম্পদ কিছু নেই।’
স্মৃতি ঘাঁটতে ভালবাসেন তসলিমা। বেশ কয়েক বছর আগের স্মৃতিও নতুন করে তুলে ধরেন তিনি। তেমনি কিছুদিন আগে মরণোত্তর দেহদানের খবর ফাঁস করেছিলেন তসলিমা। তাঁর শেয়ার করা কিছু নথি এবং বডি ডোনার পকেট কার্ডের ছবি থেকে জানা গিয়েছিল, ২০১৮ সালে দিল্লির এইমস হাসপাতালে মরণোত্তর দেহদান করেছেন তিনি।
সম্প্রতি গত বছরের একটি পোস্ট ফের শেয়ার করেছেন তসলিমা। মরণোত্তর দেহদানের প্রসঙ্গে সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি চাই আমার মৃত্যুর খবর প্রচার হোক চারদিকে। প্রচার হোক যে আমি আমার মরণোত্তর দেহ দান করেছি হাসপাতালে, বিজ্ঞান গবেষণার কাজে। কিছু অঙ্গ প্রতিস্থাপনে কারও জীবন বাঁচুক। কারও চোখ আলো পাক। প্রচার হোক, কিছু মানুষও যেন প্রেরণা পায় মরণোত্তর দেহ দানে।’
তসলিমার কথায়, ‘জীবনের একটি মুহূর্তেরও মূল্য অনেক। তাই কোনও মুহূর্তই হেলায় হারাতে চাই না। মরার পর আমরা কিন্তু কোথাও যাই না। পরকাল বলে কিছু নেই। পূনর্জন্ম বলে কিছু নেই। মৃত্যুতেই জীবনের সমাপ্তি। আমার জীবন আমি সারাজীবন অর্থপূর্ণ করতে চেয়েছি। মৃত্যুটাও চাই অর্থপূর্ণ হোক।’