বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিতর্কের নাম আবারো কবীর সুমন (Kabir Suman)। কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগা থেকে শুরু করে বেসরকারি চ্যানেলের সাংবাদিককে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ, বারে বারে শিরোনামে উঠে এসেছেন প্রবীণ সুরকার গায়ক। কিন্তু এবারে যেন তিনি সীমা ছাড়ালেন, দাবি ক্ষুব্ধ নেটনাগরিকদের।
সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পেজে একটি কবিতা লিখেছিলেন কবীর সুমন। সেই কবিতা নিয়েই যত গণ্ডগোল। কবিতার ছত্রে ছত্রে যৌন ইঙ্গিত, অশ্লীলতা ফুটে উঠছে, এমনটাই অভিযোগ করেছেন শিল্পী থেকে আমজনতা। সুরকার গায়কের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনও (Taslima Nasrin)। সুমনকে ‘জেহাদি’ বলে কটাক্ষ শানিয়েছেন তিনি।
তসলিমা জানান, কবীর সুমনের এমন আচরণ নতুন নয়। তাঁর বিরুদ্ধেও অনেক কিছু করেছেন গায়ক। তসলিমার দাবি, ‘সাচ্চা মুসলমান’ হয়ে উঠে জেহাদিদের মতো কাজ করেছিলেন সুমন। লেখিকার বই নিষিদ্ধ করা, তাঁর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করার মতো কাজগুলিকেও সমর্থন করেছেন তিনি এক সময়।
রাখঢাক না করেই তসলিমা বলেন, কবীর সুমনের গানে সচেতনতার কথা শুনে তিনি অন্য রকম ভেবেছিলেন। কিন্তু তিনি হয়তো বরাবর এমনি ছিলেন, যে শাসকের পা চাটতে, জেহাদিদের হয়ে গলা ফাটাতে দ্বিধা করেন না।
নাম না করে সুরকারের বিরুদ্ধে গলা চড়িয়েছেন বাংল র শিল্পী মহলও। অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র কটাক্ষ, ‘মানুষ হওয়া ছেড়েছো তো কয়েক বছর আগে। তোমার কি জন্তু হতে এত ভাল লাগে?’ অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘তিনি উন্মাদ হলেন, উন্মাদ হলেন। ভদ্রতা বিসর্জন দিলেন আরো একবার।’ অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী নাম না করেই সুরকারের চিকিৎসা করানোর আর্জি জানিয়েছেন।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা