বাংলাহান্ট ডেস্ক: টাটার স্বপ্নের গাড়ি ন্যানো (Tata Nano EV)। যার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের নামও জড়িয়ে রয়েছে। মধ্যবিত্তের স্বপ্নপূরণে মাত্র এক লক্ষ টাকায় এই গাড়ি বাজারে এনেছিল টাটা মোটরস। কিন্তু গাড়িটি বাজারে একটুও ছাপ ফেলতে পারেনই। একাধিক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে অবশেষে ২০২০ সালে বিদায় নেন ন্যানো।
ক্রেতাদের সমস্যার পাশাপাশি ২০২০ সালের এপ্রিলে সরকার বিএস-৬ নির্দেশিকা লাগু করে। তখনই সংস্থা সিদ্ধান্ত নেয় এই এক লাখি গাড়ি বাজার থেকে তুলে নেওয়ার। তবে ২০১৮ সালের মে মাসেই এই গাড়ির উৎপাদন বন্ধ করে দেয় টাটা। ভারতের ইলেকট্রিক গাড়ির বাজারে বর্তমানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে টাটা নেক্সন ইভি।
পাশাপাশি আরও কিছু গাড়ির ইলেকট্রিক সংস্করণ বাজারে এনেছে টাটা মোটরস। এবার তাদের স্বপ্নের গাড়ি ন্যানোকেও নতুন রূপে বাজারে আনতে ইচ্ছুক গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা। এ বার আর পেট্রোল নয়, একেবারে ইলেকট্রিক মডেলে আনা হবে ন্যানোকে। ছোট্ট এই হ্যাচব্যাক গাড়িটির পেট্রোল সংস্করণে একটি ৬২৪ সিসি টুইন সিলিন্ডার ইঞ্জিন ছিল।
যা ৩৮ হর্সপাওয়ারের ক্ষমতা দিত গাড়িটিকে। এছাড়াও একটি ৪-স্পিড গিয়ারবক্স ছিল গাড়িটিতে। কিন্তু ন্যানোর এই ইলেকট্রিক সংস্করণে একাধিক বদল আনতে চলেছে টাটা মোটরস। টাটা ন্যানোর ইলেকট্রিক সংস্কণের সাসপেনশন এবং আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশে বদল আনা হচ্ছে।
এছাড়াও টাটা ন্যানো ইভি-র উৎপাদন শুরু হলে ফোর্ডের মারাইমালাইনগরের কারখানা অধিগ্রহণ করতে ইচ্ছুক টাটা মোটরস। এ বিষয়ে তামিলনাড়ু সরকারের সঙ্গে আলোচনাও করতে চায় তারা। এই মুহূর্তে তিনটি ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রি করে টাটা মোটরস। নেক্সন ইভি, টিগর ইভি এবং এক্সপ্রেস টি। সম্প্রতি টাটা টিয়াগো ইভি-র দাম সম্পর্কে জানিয়েছে টাটা।
এটির দাম শুরু হবে ৮.৪৯ লক্ষ টাকা থেকে এবং সর্বোচ্চ মডেলের দাম হবে ১১.৭৯ লক্ষ টাকা। আগামী জানুয়ারিতে শুরু হবে এই গাড়ির ডেলিভারি। এতে দু’টি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি রয়েছে। যার ফলে এক চার্জে এটি ২৫০ থেকে ৩১৫ কিলোমিটার অবধি চলতে পারবে।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা