বাংলা হান্ট ডেস্কঃ টাটা মানেই ভারতীয়দের কাছে একটা আবেগ। আর সেই আবেগের কারণ হলেন রতন টাটা। দেশ যখনই বিপদে পড়েছে, তখনই রতন টাটা এগিয়ে এসে দেশকে যথাসাধ্য সাহায্য করেছেন। এছাড়াও নিজের কোম্পানির কর্মীদের প্রতিও বড়ই সহানুভূতিশীল তিনি। আর এই কারণেই রতন টাটা প্রতিটি ভারতীয়র মনে আলাদা করে একটি জায়গা করে নিয়েছেন।
বিগত কয়েকমাসে টাটা গোষ্ঠী ভারতে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করার পথে নেমেছে। প্রথমে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স, এবং পরে IPL-র টাইটেল স্পনসর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে টাটা গোষ্ঠী। আর এরই মধ্যে এবার গোটা বিশ্বে বড়সড় সফলতা অর্জন করল টাটা। টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস গোটা বিশ্বে একটি বড় সফলতা অর্জন করেছে। টাটা কনসালটেন্সি সারা বিশ্বে আইটি পরিষেবা খাতে দ্বিতীয় সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ‘Brand Finance 2022 Global 500’-র প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এই তালিকায় অ্যাকসেঞ্চার প্রথম স্থান দখল করেছে।
টাটা কনসালটেন্সি ছাড়াও অন্যান্য ভারতীয় জায়ান্টগুলির মধ্যে ইনফোসিস সহ চারটি প্রযুক্তি সংস্থা তালিকার শীর্ষ ২৫ আইটি পরিষেবা ব্র্যান্ডে জায়গা করে নিয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, Accenture সবচেয়ে মূল্যবান এবং শক্তিশালী আইটি পরিষেবা ব্র্যান্ড হিসাবে অব্যাহত রয়েছে। এর ব্র্যান্ড মূল্য ৩৬.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
TCS সম্পর্কে কথা বললে, ব্যবসায়িক কর্মক্ষমতা এবং সফল অংশীদারিত্বের কারণে এটি ১৬.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের কোম্পানি হয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে পৌঁছেছে। ব্র্যান্ড ফাইন্যান্সের প্রতিবেদন অনুসারে, গত ১২ মাসে TCS-র ব্র্যান্ড মূল্য ১.৮৪৪ বিলিয়ন ডলার (১২.৫ শতাংশ) বেড়ে ১৬.৭৮৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। এটা লক্ষণীয় যে, টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস টাটা গ্রুপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানি, যেটি আইটি পরিষেবা সম্পর্কিত কাজ দেখাশোনা করে।
আমরা যদি বিশ্বের ১০টি দ্রুত বর্ধনশীল আইটি পরিষেবা ব্র্যান্ডের দিকে তাকাই, তাহলে ৬টি বড় ভারতীয় ব্র্যান্ডগুলি এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বিশেষ করে করোনা মহামারীর সময়ে ডিজিটালাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই কারণেই আইটি পরিষেবা গত দুই বছরে সবচেয়ে দ্রুত গতি অর্জন করেছে। রিপোর্ট অনুসারে, ভারতের আইটি কোম্পানিগুলি ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে, যা প্রায় ৫১ শতাংশের আশেপাশে। তবে যদি আমরা একই সময়ে আমেরিকান কোম্পানিগুলির বৃদ্ধির দিকে তাকাই, তাহলে দেখা যাবে যে ভারতীয় কোম্পানিগুলি তাদের থেকে ৭ শতাংশ পিছিয়ে রয়েছে।