বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে দলত্যাগের বার্তা দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। আসানসোলের সংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুলের সঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরেই মত বিরোধ চলছিল দলের (BJP)। কার্যত মন্ত্রীত্ব ত্যাগের পর তা প্রকাশ্যে এসে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যেই দলের রাজ্য সভাপতির সঙ্গে মতবিরোধের আবহাওয়া তৈরি হয়। যার জেরে তখন থেকেই জল্পনা তৈরি হচ্ছিল ধীরে ধীরে। কার্যত সেই জল্পনাকেই সত্যি প্রমাণিত করে বাবুল (Babul Supriyo) শনিবার লেখেন, ‘চললাম আলবিদা’।
তার এই দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টের পর স্বাভাবিকভাবেই আলোড়ন পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। অনেকেই মনে করছেন ২০১৪ সালে বিজেপিকে পশ্চিমবঙ্গে জায়গায় করে দেবার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন গায়ক বাবুল সুপ্রিয়। এমনকি আসানসোলেও যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। যার জেরে ২০১৯ সালে ভোটের পরিমাণ বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যায়। দ্বিতীয়বার ক্যাবিনেটের মন্ত্রীত্বও পান তিনি। তারপর ২০২১ এর বিধানসভা। টালিগঞ্জের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের (Arup Biswas) কাছে হারের পর থেকেই দলে যে তার অবস্থান কিছুটা দুর্বল হতে শুরু করে তা বলাই বাহুল্য। আর যদি প্রথমেই মন্ত্রীত্ব ত্যাগ এবং প্রথম পরে দলত্যাগ।
বাবুলের এই দলত্যাগে ব্যথিত অনেকেই। বর্ষিয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়ও (Tathagata Roy) এদিন টুইট করে লেখেন, “বাবুল সুপ্রিয়র বিদায়ে ব্যথিত। আমাদের মধ্যে একটা প্রজন্মের তফাৎ হলেও আমি ওকে বন্ধু হিসাবেই দেখতাম। আমি ওকে বোঝাবার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু সফল হইনি। রাজনীতিতে থাকতে হলে ধৈর্য একটি অত্যাবশ্যক উপাদান। আশা করি বাবুল যা করেছে ভেবে চিন্তেই করেছে।” তথাগতকে স্পষ্টবাদী নেতা বলেই জানেন সকলে। এর আগে এমনকি দলের বিরুদ্ধেও নিজের ক্ষোভ সরাসরি উপরে দিয়েছেন তিনি। তাই তার বাবুলকে এভাবে সার্টিফিকেট দেওয়া যে অন্য মাত্রা এনে দেয় তা বলাই বাহুল্য।
I am pained at Babul Supriyo’s exit. I tried to persuade him to reconsider it,but no go. He is a full generation below mine,but we had become good friends. Patience is a quality essential for being in politics.
Well,well,I hope he knows what he is doing!— Tathagata Roy (@tathagata2) August 1, 2021
অন্যদিকে বিষয়ে মুখ খুলেছেন একসময় বাবুলের প্রতিদ্বন্দ্বি জিতেন্দ্র তিওয়ারিও। তার মতে, বাবুল চলে গেলে আসানসোলেরও ক্ষতি দলেরও ক্ষতি। যদিও ফেসবুকে নিজের মতামত জানালেও এখনও অফিসিয়ালি পদত্যাগ করেননি তিনি। আগামী দিনে বাবুলের মত বদলায় কিনা, সেদিকেও নজর থাকবে অনেকেরই। একথা ঠিক যে বাবুল একজন তরুণ নেতা। তার পিছনে রয়েছে সাংস্কৃতিক ব্যাকগ্রাউন্ড। পার্টির ভাবমূর্তির ক্ষেত্রেও বাবুলের থাকা বা না থাকায় বড় প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন রাজনৈতিক মহল।