মদ খেয়ে স্কুলে শিক্ষক, মাতাল হয়ে হারালেন হুঁশ! ভাইরাল ভিডিও দেখে অবাক সবাই

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে প্রতিদিনই হাজার হাজার ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। তবে, সেগুলির মধ্যে এমন কিছু ভিডিও থাকে যেগুলি দেখে অবাক হয়ে যান প্রত্যেকেই। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার একটি চাঞ্চল্যকর ভিডিও সামনে এসেছে। যেটি ইতিমধ্যেই তুমুল ভাইরাল হয়েছে। মূলত, ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে একজন শিক্ষককে মদ্যপ অবস্থায় স্কুলে এসে রীতিমতো ঢুলতে দেখা গিয়েছে।

আর এই বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেই অবাক হয়েছেন নেটিজেনরা। এমতাবস্থায়, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে। সেখানে একজন সরকারি স্কুলের শিক্ষক মদ্যপ অবস্থাতেই স্কুলে এসে হুঁশ হারিয়ে ফেলেন। বর্তমান প্রতিবেদনে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করা হল।

আরও পড়ুন: কপাল পুড়ল চিনের! স্মার্টফোনের পর ভারতেই ল্যাপটপ তৈরি করবে Samaung, হয়ে গেল ঘোষণা

উল্লেখ্য যে, ওই শিক্ষক জব্বলপুরের জামুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। অভিযোগ উঠছে যে, তিনি প্রায়শই মদ্যপান করে স্কুলে পৌঁছতেন। যার ফলে এই বিষয়টি পড়ুয়াদের পাশাপাশি অভিভাবকদের কাছেও বেশ অস্বস্তিকর হয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে যে, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে শিক্ষকের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে স্কুলের পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা। এরপর পড়ুয়ারা নিজেরাই ওই মাতাল শিক্ষকের ভিডিও তৈরি করে তা ভাইরাল করে দেয়।

আরও পড়ুন: গ্লোবাল হয়ে উঠল স্বদেশী পেমেন্ট সিস্টেম! এবার UPI-র মাধ্যমে কাটা যাবে আইফেল টাওয়ারের টিকিটও

কি দেখা গিয়েছে ভিডিওটিতে: ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা দিয়েছে যে, ওই শিক্ষক রীতিমতো মত্ত অবস্থায় স্কুলে উপস্থিত হয়ে স্কুলের এক পাশে বসে রীতিমতো হুঁশ হারিয়ে ফেলেন। সিঁড়িতে বসেই ঢুলতে থাকেন তিনি। এমতাবস্থায়, তাঁর আশেপাশে স্কুলের পড়ুয়ারা কথা বলার পাশপাশি চলাচল করলেও কোনো দিকেই ভ্রুক্ষেপ নেই ওই শিক্ষকের। এদিকে শিক্ষকের এই অবস্থা সরাসরি পরিলক্ষিত করতে থাকে পড়ুয়ারা। আর এই পুরো বিষয়টিই ধরা পড়েছে ওই ভিডিওতে। যেটি ইতিমধ্যেই ভাইরাল নেটমাধ্যমে।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম রাজেন্দ্র নেতাম। জানা গিয়েছে যে, একাধিকবার অভিযোগ করার পরও যখন এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এমতাবস্থায়, তাঁকে “উচিত শিক্ষা” দিতে শিক্ষকের মদ্যপ অবস্থার ভিডিও উচ্চ আধিকারিকদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, এটাও অভিযোগ উঠছে যে, ওই শিক্ষক মাতাল হয়ে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হয়রানি করতেন।

Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

X