বাংলা হান্ট ডেস্ক: অধিকাংশজনই নিরাপদভাবে অর্থ জমা রাখার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ককে প্রাধান্য দেন। তবে, এবার এমন একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে যেটি জানার পর কার্যত চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাবে সকলের। এই প্ৰসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মোরাদাবাদে ব্যাঙ্ক অফ বরোদার (Bank Of Baroda) রামগঙ্গা বিহার শাখা থেকে একটি অদ্ভুত ঘটনা সামনে এসেছে।
সেখানে একজন প্রৌঢ়া ব্যাঙ্কের লকারে ১৮ লক্ষ টাকা জমা রেখেছিলেন। কিন্তু, এই বিপুল পরিমাণ অর্থ উইপোকার কবলে পড়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, সেই ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। লকার হোল্ডার প্রৌঢ়া যখন সেটি রিন্যুয়েল করতে ব্যাঙ্কে যান তখন এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। লকারটি খুলতেই দেখা যায় যে, সেখানে থাকা প্রতিটি নোটই সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যা প্রত্যক্ষ করে ওই প্রৌঢ়া রীতিমতো চমকে ওঠেন। এদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের কাছে অভিযোগ করেন। এমতাবস্থায়, এই গুরুতর বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে ব্যাঙ্ক।
ঠিক কি ঘটেছে: উল্লেখ্য যে, মোরাদাবাদের আশিয়ানা কলোনির বাসিন্দা অলকা পাঠক তাঁর মেয়ের বিয়েতে খরচ করার জন্য ব্যাঙ্কের লকারে গহনা সহ ১৮ লক্ষ টাকা রেখেছিলেন। গত সোমবার ব্যাঙ্ক অফ বরোদায় এগ্রিমেন্ট রিন্যুয়েল এবং কেওয়াইসি করার জন্য অলকা পাঠককে ডাকা হয়েছিল। এদিকে, ব্যাঙ্কে পৌঁছে লকার খুলে দেখতেই চমকে ওঠেন তিনি। অলকা লক্ষ্য করেন যে, লকারে রাখা তাঁর সমস্ত নোটগুলি উইপোকা সম্পূর্ণ নষ্ট করে ফেলেছে। তারপরে তিনি বিষয়টি ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের জানান। এরপর বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসে।
আরও পড়ুন: দুর্দান্ত পলিসি LIC-র! এবার মাত্র ১০০ টাকা জমা করেই পেয়ে যান ৭৫ হাজার টাকার লাভ সহ একাধিক সুবিধা
কালো পলিথিনে রাখা ছিল ১৮ লক্ষ টাকা: এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটির প্ৰসঙ্গে অলকা জানিয়েছেন যে, তাঁর বিছানা সরবরাহের একটি ছোট ব্যবসা রয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি বাচ্চাদের টিউশনও পড়ান। কিছু দিন আগে তাঁর এক মেয়ের বিয়ে হয়। তারপরে তিনি তাঁর দ্বিতীয় মেয়ের বিয়ের জন্য ব্যাঙ্কের লকারে অবশিষ্ট টাকা রেখেছিলেন।
আরও পড়ুন: বন্দে ভারতে সফর করেছেন কতজন? রিপোর্ট কার্ড সামনে আনলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী, জানলে হবেন অবাক
২০২২ সালের অক্টোবরে তিনি এই টাকা লকারে রাখেন। কিন্তু লকার হোল্ডার অলকা পাঠক জানতেন না যে লকারে নোট রাখা যাবে না। তিনি নিজেই লকারে গহনাসহ কালো পলিথিনে ১৮ লক্ষ টাকা রেখেছিলেন। এদিকে, ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার অলকাকে জানিয়েছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং রিপোর্ট আসার পর বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।