বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনার সঙ্কট আর লকডাউনের মধ্যে ঝড়ে গেলো একটি তরতাজা প্রাণ। চাকরি না পাওয়ার কারণে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের ৩২ বছর বয়সী অনুপ কুমার মাইতি। ২০১৫ সালে অনেক আশা করে টেট পরীক্ষা দিয়েছিল সে। পাশও করেছিল ওই পরীক্ষায়। কিন্তু ৫ বছর কেটে গেলেও মেলেনি চাকরি। আর সেই অবসাদেই শেষে মৃত্যুর পথ বেছে নিলো মেধাবী অনুপ।
সাধারণ নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে অনুপ। এলাকায় শান্তশিষ্ট, ভদ্র আর মেধাবী বলেই পরিচিত সে। আরও পাঁচ-সাতটা যুবকের মতো তাঁরও স্বপ্ন ছিল উচ্চ শিক্ষিত হয়ে চাকরি করে পরিবার চালাবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হল কই? ২০১৫ সালে টেট পরীক্ষা দেওয়ার পর থেকেই ঘরে বসে আছে পশ্চিমবঙ্গের যুব সমাজের প্রতিনিধি অনুপ।
২০১৬ সালে টেটের রেসাল্ট বের হলেও হয়নি নিয়োগ। শিক্ষামন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, নিয়োগ হবে। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আর পালন করা হয়নি। অনুপের বাড়িতে আছে তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মা। আধপেটা খেয়ে দিন চলে তাদের। আর এই অভাবের সংসারে প্রয়োজন ছিল একটি চাকরির। যদিও কারও সুপারিশে নয়, নিজের যোগ্যতাতেই চাকরি চেয়েছিল অনুপ।
এই মেধার মৃত্যুর জন্য দায়ী কে? শুধু অনুপ একা না, এরাজ্যে আরও হাজার হাজার অনুপ রয়েছে যারা টেটে পাশ করে চাকরির আশায় চাতক পাখির মতো চেয়ে রয়েছে সরকারের দিকে। আর সরকারের পক্ষ থেকে চলছে শুধুই টালবাহানা। চাকরি দেওয়া দূরের কথা, ২০১৫ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত রাজ্যে আর টেট পরীক্ষা করাতে পারেনি সরকার। রাজ্যের হাজার হাজার মেধাবী ছাত্রদের একটাই আশা … একদিন তাদের সাথে ন্যায় হবেই।