বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি নেওয়া হয়েছে ২০২৩ সালের টেট (TET) পরীক্ষা। গত বছরও নিয়ম মেনে প্রাথমিককের টেট নিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Board of Primary Education)। মাঝে ২০১৬ সাল থেকে প্রাথমিক টেট হচ্ছিল না। তবে এবার পর্ষদ জানিয়ে দিয়েছে প্ৰতি বছর টেট হবে। একবারও বাদ যাবে না। টেট হোক বা না হোক এই পরীক্ষা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই।
২০২৩ সালে টেট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমলেও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে টেট পরীক্ষার আবেদন মূল্য। গত বছর টেটের আবেদনমূল্য (Application Fee) বেড়েছিল ৫০ টাকার মতো। আর এবার অনেকটাই বেড়েছে আবেদনমূল্য। এক বছরে এক লাফে ৩০০ টাকা বেড়েছে ফি।
২০২২-এ টেটে বসতে সাধারণ ক্যাটাগরির পরীক্ষার্থীদের দিতে হয়েছিল ২০০ টাকা। আর ২০২৩ সালে সেই টাকা বেড়ে হয়েছে ৫০০। ঠিক কোন কারণে এতটা বাড়ানো হল আবেদনমূল্য? এই নিয়েই মুখ খুলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদ তরফে জানানো হয়েছে, পরীক্ষার ওপর যেভাবে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে, তাতেই খরচ মূলত অনেকটা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: আরও বাড়বে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা? মমতার উপহারের পর DA নিয়ে সামনে বিরাট আপডেট
দীর্ঘদিন ধরে টেট নিয়ে একাধিক অভিযোগ ওঠায় পরীক্ষায় নজরদারিতে আর কোনও খামতি রাখতে চাইছে না বোর্ড। স্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষা নিতে নতুন সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পর্ষদ। গত বছরের মত এবারও ছিল সিসিটিভি ব্যবস্থা। প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের ঢোকা ও বেরোনোর জায়গায় সিসিটিভি বাধ্যতামূলক করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পাশাপাশি কন্ট্রোল রুমেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পর্ষদ জানিয়েছে, পরীক্ষার সমস্ত নিরাপত্তায় দায়িত্বে ছিল বেসরকারি এজেন্সি। আর এই সব কারণেই অনেক বেশি টাকা খরচ হচ্ছে। তাই এ বছর পরীক্ষার ফি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পর্ষদ। জানিয়ে রাখি, এ বছর জেনারেল ক্যাটাগরীর প্রার্থীদের পরীক্ষার ফি বাবদ দিতে হয়েছে ৫০০ টাকা। এসসি, এসটি ও বিশেষভাবে সক্ষম প্রার্থীদের জন্য ২৫০ টাকা, ওবিসি প্রার্থীদের ৪০০ টাকা করে ফি জমা দিতে হয়েছে।