মদ্যপান করলে স্টার্ট হবে না গাড়ি! দুর্ঘটনা কমাতে তিন ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারের যুগান্তকারী আবিষ্কার

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের রাজ্য তথা দেশজুড়ে ক্রমশ বাড়ছে যানবাহনের সংখ্যা। আর তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুর্ঘটনাও। এমনকি, প্ৰতিদিনই কয়েকশ মানুষ দেশজুড়ে প্রাণ হারান পথদুর্ঘটনায়। এছাড়াও, দুর্ঘটনা এড়াতে একাধিক সরকারি কর্মসূচি গ্রহণ করা হলেও কিছুতেই মিলছে না সুরাহা। যদিও, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মদ্যপ হয়ে গাড়ি চালানোর জন্য এইসব দুর্ঘটনা ঘটে।

এমনকি, যত দিন যাচ্ছে ততই বেড়ে চলেছে এই প্রবণতা। তবে, এবার এই প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা এড়াতে এক অভিনব আবিষ্কার করেছেন আমাদের দেশেরই তিন ইঞ্জিনিয়ার। আর তাঁদের এই অভিনব উদ্ভাবনে কার্যত এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হাজার হাজার দুর্ঘটনা। মূলত, এই তিন ইঞ্জিনিয়ার মিলে এমন একটি ডিভাইস আবিষ্কার করেছেন যেটির ফলে মদ্যপ অবস্থায় কেউই আর গাড়ি চালাতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, ওই ডিভাইসের ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে স্টার্ট হবেনা গাড়িটিও!

জানা গিয়েছে যে, ঝাড়খণ্ডের অন্তর্গত পূর্ব ঝরিয়া অঞ্চলের তিন ইঞ্জিনিয়ার সিদ্ধার্থ সুমন, অজিত যাদব এবং মনীশ বালমুচু একসাথে তৈরি করেছেন একটি অদ্ভুত যন্ত্র। যেটি গাড়ি চালানোর আগে ড্রাইভার আদৌ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আছেন কিনা তা পরীক্ষা করে দেখবে। এমনকি, যদি এই যন্ত্রটি পরীক্ষা করে বুঝতে পারে যে সংশ্লিষ্ট চালক গাড়ি চালানোর মত অবস্থায় নেই, তাহলে সেক্ষেত্রে গাড়িটি স্টার্টও হবে না কিছুতেই। আর এভাবেই এড়ানো যাবে দুর্ঘটনা। মূলত, ওই তিনজন ইঞ্জিনিয়ার দু’জন ওভারম্যানকে নিয়ে এই যন্ত্রটি তৈরি করেছেন।

কিভাবে কাজ করবে এই অভিনব যন্ত্র:
এই যন্ত্রটি গাড়িতে ইনস্টল করার পর থেকেই এটি তার কাজ শুরু করে দেবে। এটির নাম দেওয়া হয়েছে স্মার্ট সেফটি সিস্টেম এগেইনস্ট অ্যালকোহল ইন ভেহিকেল বা সংক্ষেপে SSSAV। মূলত, এটি সেন্সর, মাইক্রো কন্ট্রোল সহ অন্যান্য বৈদ্যুতিক উপাদান দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এই ডিভাইসের সেন্সরটি ড্রাইভিং সিটে বসে থাকা চালকের শ্বাস-প্রশ্বাস পরীক্ষা করে।

এমতাবস্থায়, যদি কেউ মদ্যপান করে গাড়ি চালাতে যান সেক্ষেত্রে এই যন্ত্র কিছুতেই গাড়ি স্টার্ট করবেনা। এমনকি, যদি গাড়িটি আগে থেকেই চালু থাকে এবং পরে কোনো মদ্যপ ব্যক্তি ড্রাইভিং সিটে বসেন, সেক্ষেত্রে গাড়িটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।

WhatsApp Image 2022 05 05 at 1.01.58 PM

জানা গিয়েছে যে, কয়লা পরিবহনের সময় যতগুলি সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে সেগুলির অধিকাংশক্ষেত্রেই লরির চালক মদ্যপ ছিলেন। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এই অভিনব যন্ত্র তৈরির কথা মাথায় আসে ওই তিন ইঞ্জিনিয়ারের। পাশাপাশি, এই যন্ত্রের ফলে অনেক সাধারণ মানুষের প্রাণ বাঁচবে বলেও আশাবাদী তাঁরা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর