বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে শীতের দাপট শুরু হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই ক্রমশ নিম্নমুখী হচ্ছে পারদ। এই সময়টাতে মূলত শীতের ছুটির কারণে অসংখ্য মানুষ বেড়াতে আসেন কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায়। ঠিক সেই আবহেই মিলল এক বিরাট সুখবর। এতদিন যাবৎ রাজ্যে শুধুমাত্র একটাই প্ল্যানেটোরিয়াম ছিল। যেটির নাম হল বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়াম (Birla Planetarium)। প্রত্যেক বছর এই সময়টাতে বহু মানুষ ভিড় করেন এখানে। তবে, সেই তালিকায় এবার নতুন সংযোজন ঘটতে চলেছে।
জানা গিয়েছে, এবার হাওড়ায় (Howrah) তৈরি হয়েছে রাজ্যের দ্বিতীয় তারামন্ডলটি। শুধু তাই নয়, দেশের প্রথম 3D তারামণ্ডল হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে নতুন এই প্ল্যানেটোরিয়ামটি। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, হাওড়া পুরসভার (Howrah Corporation) উদ্যোগে শরৎ সদন সংলগ্ন এলাকায় এই তারামণ্ডলটি তৈরি হয়েছে। এমতাবস্থায়, পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে যে, কলকাতার বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের মতো এখানেও প্রদর্শনীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় থাকবে।
পাশাপাশি পুর প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আপাতত প্রতিদিন দুপুর ৩ টে, বিকেল ৪ টে ও বিকেল ৫ টার সময় শো রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই ওই তারামন্ডলের টিকিটের দামও সামনে এসেছে। ছোটদের জন্য টিকিটের দাম ধার্য করা হয়েছে ৭০ টাকা। পাশাপাশি, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকিটের দাম হয়েছে ১২০ টাকা। এদিকে, হাওড়ায় নতুন এই প্ল্যানেটোরিয়াম হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি স্থানীয়রা।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, চলতি বছর দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে এই তারামণ্ডলের উদ্বোধন করেন পুর ও নগোরন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। যদিও, সেই সময়ে কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা থাকার কারণে তা চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে, এবার এই তারামণ্ডল একদম প্রস্তুত। এমতাবস্থায়, পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২ ডিসেম্বর এই 3D তারামণ্ডল সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এদিকে, নতুন এই তারামণ্ডলের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে হাওড়া পুরসভা। এটি তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৪ কোটি টাকা।
এই প্রসঙ্গে হাওড়া পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “উদ্বোধন আগেই হয়ে গেলেও কিছু প্রযুক্তিগত কাজ বাকি ছিল। এই তারামণ্ডলে মোট ১০০ টির কাছাকাছি আসন সংখ্যা রয়েছে। সব মিলিয়ে ৪৫ মিনিটের শো হবে। এটাই দেশের প্রথম 3D প্ল্যানেটোরিয়াম। তাই, অডিটোরিয়ামের ভিতর বেশ কিছু কঠোর নিয়ম মেনে চলতে হবে। শীতের মরশুমে প্রচুর মানুষ এখানে আসবেন।” উল্লেখ্য যে, এই তারামণ্ডলের 3D অ্যানিমেশন ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে দেশি ও বিদেশি সংস্থা একসঙ্গে কাজ করেছে বলেও জানা গিয়েছে।