৫০ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল! মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে অন্ধকারে বেলপাহাড়ি, বিপাকে পড়ুয়ারা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আর কিছুদিন পর শুরু মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Pariksha)। পরীক্ষার আগে কেটে দেওয়া হয়েছে গ্রামের বিভিন্ন বাড়ির বৈদ্যুতিক লাইন। সম্পূর্ণ অন্ধকারে দিন কাটাচ্ছে গ্রামের অসংখ্য দরিদ্র পরিবার। অভিযোগ গ্রামবাসীদের কারোর বিল এসেছে ২৫ হাজার টাকা, আবার কারোর বিল এসেছে ৫০ হাজার টাকা!

গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারগুলির এই পরিমাণ বিল মেটানো সম্ভব নয়। বেলপাহাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বামুনডিহা গ্রামের ডোমপাড়া এলাকায় ঘটেছে এই ঘটনা। এই এলাকায় বসবাস করে ডোম সম্প্রদায় ভুক্ত হতদরিদ্র পরিবার। সন্ধ্যা নামলেই এই এলাকা ডুবে যাচ্ছে অন্ধকারে। ঘরে ঢুকে আসছে সাপ, চিকা। গ্রামবাসীরা বসবাস করছেন আতঙ্কের মধ্যে।

আলোর অভাবে পড়াশোনা করতে পারছেন না পড়ুয়ারা। বাজার থেকে মোটা টাকায় কেরোসিন তেল কিনে লম্প জ্বালিয়ে পড়াশোনা করার সামর্থ তাদের নেই। এখানকার বাসিন্দারা মূলত ঝুড়িসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। অনেকে দুর্গাপূজার সহ বিভিন্ন উৎসবে ঢাকির কাজ করেন। পুজো ছাড়া অন্যান্য সময় তারা বায়না পান না। এরফলে চরম আর্থিক দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাতে হয় তাদের।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, “ডোম পাড়ায় দুই তিনটে বাড়ি বাদে সব বাড়ির বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিল এসেছে। এত টাকা বিল কি করে দেব? আমরা কাজ করতে পারছি না, বাচ্চারা পড়াশোনা করতে পারছে না।” এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর কথায়, “সামনে পরীক্ষা। আলোর ভাবে পড়াশোনা করতে পারছিনা। পরিবারের অবস্থা খুব খারাপ।”

d6b32 l villages in the dark

মূলত সারা দিন ধরে সেখানকার মানুষেরা জঙ্গল থেকে লতা সংগ্রহ করেন এবং সন্ধের পর তা দিয়ে ঝুড়ি বানান। কিন্তু তাদের অভিযোগ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ফলে তারা সেই কাজও করতে পারছেন না। ফলে এই বিষয়টি নিয়ে ঝাড়গ্রামের জেলা শাসক সুনীল আগরওয়াল বিদ্যুৎ দপ্তরের সাথে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর