বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর আপডেট সামনে এসেছে। মূলত, সম্প্রতি জাতিসংঘ এমন একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যেটি সম্পর্কে জানার পর রীতিমতো ঘুম উড়বে প্রত্যেকের। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী “ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট-খুরাসান” (ISIL-K) ভারতে (India) বড় আকারের হামলা চালাতে না পারলেও, এই দেশে স্থিত তার হ্যান্ডলারদের মাধ্যমে সেই ধরণের সদস্য নিয়োগ করতে চায় একাই হামলা চালাতে পারে।
সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের নজর এবার ভারতের (India) দিকে:
ISIL-K, আল-কায়েদা এবং এগুলির সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তি ও সংস্থাগুলির ওপর বিশ্লেষণাত্মক সহায়তা এবং নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষণ দলের ৩৪ তম রিপোর্ট গত মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, সদস্য দেশগুলি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে আফগানিস্তান থেকে উদ্ভূত সন্ত্রাসবাদ এই অঞ্চলে নিরাপত্তাহীনতার কারণ হবে।
সন্ত্রাসবাদীদের চোখ ভারতের দিকে: রিপোর্টে বলা হয়েছে, “ভারতে (India) বড় আকারের হামলা চালাতে না পারলেও ISIL-K দেশে তার হ্যান্ডলারদের মাধ্যমে এমন লোকদের নিয়োগ করতে চায় যারা একা হামলা চালাতে পারে। সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীটি উর্দুতে একটি বই প্রকাশ করেছে। যেটি হিন্দু-মুসলিম বিদ্বেষকে উস্কে দিয়েছে এবং ভারতের প্রতি তাদের কৌশলের রূপরেখা সামনে এনেছে। তারা বলেছে যে ISIL-K ওই অঞ্চলে সবচেয়ে গুরুতর বিপদ হয়ে রয়েছে যারা আফগানিস্তানের বাইরে সন্ত্রাস ছড়িয়েছে। এদিকে, “আল-কায়েদা কৌশলগত সংযম অনুশীলন করে” এবং তালিবানের সাথে তার সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয় বলেও জানিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন: চিনকে ঝটকা দিলো TATA, আচমকাই করল বড় ধামাকা
ISIL-K সন্ত্রাসবাদীদের সংখ্যা বেড়েছে: রিপোর্ট অনুসারে, তেহরিক-ই-তালিবান (TTP), তালিবান এবং ভারতীয় (India) উপমহাদেশে আল কায়েদা (AQIS)-র মধ্যে সমর্থন ও সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণ শিবির ভাগ করে নিচ্ছে এবং তেহরিক-ই-জিহাদ পাকিস্তানে (TJP) প্রাণঘাতী হামলা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ১-২ নয়, ক’জন সন্তানের বাবা Telegram-এর CEO? জানলে উঠবেন আঁতকে
রিপোর্টে বলা হয়েছে, “TTP অন্যান্য সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদানকারী সংগঠনে পরিণত হতে পারে। মাঝারি মেয়াদে, TTP এবং AQIS-এর সম্ভাব্য সংযুক্তিকরণ পাকিস্তান এবং শেষ পর্যন্ত ভারত (India), মায়ানমার এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হুমকি বাড়াতে পারে।” কিছু সদস্য রাষ্ট্র অনুমান করেছে যে ISIL-K-র সন্ত্রাসবাদীদের সংখ্যা ৪,০০০ থেকে ৬,০০০-এ বেড়েছে।