বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনার (COVID-19) আতঙ্কের মধ্যেই মাথা চাড়া দিচ্ছে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু (African swine flu)। রবিবার পর্যন্ত আসামের সাত জেলার ৩০৬ টি গ্রামে মৃত্যু হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার শূকরের (Pig)। আসামের পশুপালন মন্ত্রী অতুল বোরা বলেছেন যে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন থাকা সত্ত্বেও শূকরদের হত্যার ব্যবস্থা অবিলম্বে নেওয়া হবে না। এই সংক্রামক রোগের বিস্তার বন্ধ করার পথ বের করতে হবে। তবে করোনার সাথে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লুর কোনও সম্পর্ক নেই। এটি মানুষের প্রভাবিত করে না।
সংক্রামিত নয় এমন শূকরগুলিকে বাঁচাতে হবে
বোরা বলেছিলেন যে ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে, রাজ্যে শূকরদের সংখ্যা ছিল ২১ লাখ, যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ লাখে। আফ্রিকার সোয়াইন ফ্লু থেকে শূকরগুলি কীভাবে সংরক্ষণ করা হবে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলা হছে। যে শূকরগুলি সংক্রামিত নয়, তাদের সুরক্ষার জন্য একটি কৌশল তৈরি করা হয়েছে। শুধুমাত্র আক্রান্ত শূকরগুলোকেই হত্যা করা হবে। এবং সংক্রামিত অঞ্চলের ১ কিমির মধ্যে নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে শূকরের মাংস, লালা, রক্ত এবং টিস্যু দ্বারা
বোরার মতানুসারে, শুধুমাত্র গুয়াহাটির তিনটি ল্যাবে পরীক্ষাই যথেষ্ট হবে না। তাই কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। শুকরের মাংস, লালা, রক্ত এবং টিস্যু দ্বারা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। সুতরাং, শূকরগুলি একটি জেলা থেকে অন্য জেলাতে স্থানান্তরিত করা হবে না। রাজ্য থেকে প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে শূকরদের রপ্তানিতে নিশেধাজ্ঞা জারী করা হবে।
এই ভাইরাসের ফলে মানুষের কোনও ক্ষতি হয় না
আফ্রিকার সোয়াইন ফ্লু শুরু হয়েছিল চীনের শিজংয়ে গত বছরের এপ্রিলে। শিজং অরুণাচল প্রদেশের সীমানা। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস প্রথমে অরুণাচল প্রদেশে হয়ে আসামে এসেছিল। বেশিরভাগ বিপথগামী শূকরের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তবে খামারগুলির সাথে শূকরগুলিতে সংক্রমণও পাওয়া গেছে।
শূকরের মৃত্যুর পরিমাণ
ইতিমধ্যেই ২৫০০ শূকরের প্রাণহানি ঘটেছে। যার মধ্যে এক কৃষকের ২৩০ শূকর মারা গেছে। এর আগে তার কর্মচারীর শূকরও মারা গিয়েছিল। তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে ভাইরাসটি সেই কর্মচারীর মাধ্যমে খামারে পৌঁছেছিল। এটি অন্য কয়েকটি খামারেও দেখা গিয়েছিল। অর্থাৎ এই ভাইরাসটি মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। মানুষের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করলেও, মানুষের ক্ষতির কোন সভাবনা নেই জানা গিয়েছে।