বাংলাহান্ট ডেস্ক : কসবা গণধর্ষণ (Kasba Law College) কাণ্ড নিয়ে শোরগোল পড়েছে বিভিন্ন মহলে। আরজিকর কাণ্ডের প্রায় এক বছরের মাথায় আবারও এক সরকারি কলেজের ভেতরে কীভাবে চালানো হল এমন পাশবিক অত্যাচার, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে সর্বত্র। আপাতত পুলিশি হেফাজতে রয়েছে মূল অভিযুক্ত সহ তিনজন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার হেনস্থা হতে হচ্ছে মূল অভিযুক্ত (Kasba Law College) ওই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেতার প্রেমিকাকে। এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ, বিচলিত তিনি। নির্বিচারে হেনস্থা করা হচ্ছে তাঁকে, এমনটাই দাবি করেছেন ওই তরুণী।

হেনস্থার শিকার কসবা কাণ্ডে (Kasba Law College) মূল অভিযুক্তের প্রেমিকা
সেই ২০১৮ থেকেই সম্পর্কে রয়েছেন (বা ছিলেন) দুজনে। সম্পর্কটা লুকিয়ে রাখেননি কেউই। মূল অভিযুক্তের ফেসবুক প্রোফাইলেও জ্বলজ্বল করছে প্রেমিকার সঙ্গে ছবি। কিন্তু যেদিন থেকে কসবা কাণ্ড প্রকাশ্যে এসেছে, নেটিজেনরা খুঁজে বের করেছে মূল অভিযুক্তের ফেসবুক প্রোফাইল। আর তারপরেই কটাক্ষের মুখে পড়েছেন তাঁর প্রেমিকা। তাঁদের ছবির নীচে চলছে দেদারে ট্রোলিং, ব্যক্তিগত আক্রমণ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে ট্রোলিং: আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তরুণী অভিযোগ করেন, কুৎসিত আক্রমণ করা হচ্ছে তাঁকে। ওই ঘটনার পরেই মূল অভিযুক্তের (Kasba Law College) প্রোফাইল থেকে নিজের নাম সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নেটিজেনদের হাত থেকে রেহাই মেলেনি। তরুণী জানান, কসবা কাণ্ডে মূল অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁর ছবি ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় আত্মীয় পরিজন, এলাকার বাসিন্দাদের কাছেও ‘ছোট’ হতে হচ্ছে তাঁকে। কিন্তু তরুণীর প্রশ্ন, শুধুমাত্র ওই অভিযুক্তের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার জন্যই কি এই হেনস্থা তাঁর প্রাপ্য হয়?
আরো পড়ুন: মঞ্চ জুড়ে কালীঘাটের কালীর ছবি! ‘বিবেকানন্দ বলেছেন…’, ব্যাটন হাতে নিয়ে TMC-কে খোঁচা শমীকের
ঘটনার সঙ্গে যোগ নেই বলেই দাবি: সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি দাবি করেছেন, ওই ঘটনার (Kasba Law College) সঙ্গে দূরদূরান্ত পর্যন্ত কোনো সম্পর্ক নেই তাঁর। তাহলে সেই ঘটনার জন্য কেন তাঁকে গালিগালাজ করা হচ্ছে? কেন তাঁর অনুমতি ছাড়া ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁর ছবি? সোশ্যাল মিডিয়ায় টানা আক্রমণের শিকার হয়ে বিধ্বস্ত তরুণী। সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি বলেন, ‘এই ট্রমা আর সহ্য করতে পারছি না। আমার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ছে।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর হেনস্থার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করছে না দেখেও অবাক তিনি। উপরন্তু এই ঘটনাবলীর (Kasba Law College) প্রভাব তাঁর পেশাগত জীবনে পড়তে পারে ভেবেও আশঙ্কা করছেন তরুণী।
আরো পড়ুন : জমে যাবে পুজো, শ্রোতাদের মনে দোলা দিতে নতুন লোকসঙ্গীত নিয়ে আসছেন অঙ্কিতা ভট্টাচার্য! সঙ্গী কে?
দীর্ঘ ৭ বছরের সম্পর্ক তাঁর মূল অভিযুক্তের সঙ্গে (বা ছিল)। যদিও ওই সম্পর্ক নিয়ে কোনো মন্তব্য তিনি করেননি প্রকাশ্যে, তবে ধর্ষণের ঘটনায় প্রেমিকের নাম জড়ানোয় বিস্মিত হন তিনি। ঘটনাচক্রে মূল অভিযুক্তের মতো ওই তরুণীও কসবা ল কলেজেরই প্রাক্তনী। বর্তমানে আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করছেন তিনি।