বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা সংকটের মধ্যে রাজ্যে রেশন বিলি নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) এবং মুখ্যমন্ত্রীর সংঘাত চলছিল। রেশন ব্যবস্থায় দুর্নীতির অভিযোগে বেশ কয়েকবার চিঠি এবং ট্যুইট করেন রাজ্যপাল। কিন্তু রাজ্য সরকার কয়েকবার রাজ্যপালের উত্তরের কড়া জবাবও দিয়েছেন। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) রাজ্যপালের ভূমিকার বিরুদ্ধে প্রাধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) কাছে অভিযোগও জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও কোন হেলদোল নেই রাজ্যপালের, বলে অভিযোগ রাজ্য সরকারের।
রাজ্যের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করায় রাজ্যপালকে বহুবার বহুভাবে অপমানিত হতে হয়েছে। কখনও নবান্ন থেকে তাঁর চিঠির কড়া জবাব দেওয়া হয়েছে, আবার কখনও তাঁর বক্তব্যের উল্টো উত্তর দিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী। এবার রাজ্যপালের ব্যবহারের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার পাঁচ পাতার এক লম্বা চিঠি লিখে যোগ্য জবাব ছুঁড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। রাজ্যপাল সেই চিঠির আবার পাল্টা জবাব দিলেন।
মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির মূল বিষয় ছিল, সংবিধানের কোন ধর্মই মানছেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সাধারণ বিষয় টুকুও তিনি উলঙ্ঘন করেছন। দু’জন সাংবিধানিক পদাধিকারী ব্যক্তির মধ্যেকার আদানপ্রদানে যে নূন্যতম শিষ্টতা থাকা দরকার, তাও উলঙ্ঘন করেছে রাজ্যপাল। তিনি নিজের সীমা অতিক্রান্ত করে যাচ্ছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো চিঠি পেয়েও কোন ভ্রূক্ষেপ নেই রাজ্যপালের, বলে অভিযোগ উঠছে। রাজভবনের তরফে কোন বদলই ঘটে নি, বলছে বিরোধীরা। উল্টে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্যপাল ফের এক ট্যুইট করেন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দ্যেশ্যে। তিনি লেখেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আমাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন, যা আমি পেয়েছি। তবে এই চিঠিটি তথ্যগত ভাবে সাঙ্ঘাতিক ভুল এবং সাংবিধানিক ভাবে খুবই দুর্বল ছিল। আমি আবারও কিছু কথা বলতে চাই, যা রাজ্যের মানুষের কাছে বাস্তব ছবিটা পরিস্কার করে দেবে”।