হুগলির বৈদ্যুতিক গাড়ি এখন বিদেশের মাটিতে! রমিরমিয়ে চলছে ব্যবসা, আয় কয়েক হাজার কোটি

বাংলা হান্ট ডেস্ক : সফল হল রাজ্যের ইলেকট্রিক ভেহিকল (Electric Vehicle) প্রস্তুতকারক সংস্থা। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে পাড়ি দিয়েছে হুগলীর ইলেকট্রিক ভেহিকল সংস্থা। সংস্থাটির নাম ‘বেঙ্গল ইলেকট্রিক ভেহিকল অ্যাসোসিয়েশন’ (Bengal Electric Vehicle Association)। এই সংস্থার সূচনা করলেন, রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী (Snehasish Chakraborty)। দীর্ঘ অনেকটা সময় ধরেই রাজ্যের ইলেকট্রিক বাহন প্রস্ততকারক সংস্থা এবং ডিলার ডিস্ট্রিবিউটাররা সকলেই এক ছাতের তলায় সম্মিলিত হওয়ার প্রচেষ্টা ছিল। যা বাস্তবে সফল হয়েছে।

গত মঙ্গলবার চন্দননগরে (Chandannagar) রবীন্দ্র ভবনে (Rabindra Bhawan) আয়োজিত হয়েছিল একটি অনুষ্ঠান। সেখানে প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে সংগঠনের উদ্বোধন করেন স্নেহাশীষ চক্রবর্তী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন, চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী (Ram Chakrabarty), ডেপুটি মেয়র মুন্না আগরওয়াল (Munna Aggarwal), মেয়র পরিষদ সদস্যা স্নিগ্ধা রায় (Snigdha Roy), পার্থ দত্ত (Partha Dutta), সংগঠনের সম্পাদক শেখ নাসিরউদ্দিন (Sheikh Naseeruddin) এবং আইনজীবী নুরুল ইসলাম খান (Nurul Islam Khan) সহ রাজ্যের সমস্ত ইলেকট্রিক ভেহিকল প্রস্ততকারক সংস্থার কর্ণধার এবং ডিলার ডিস্ট্রিবিউটার।

   

এই অনুষ্ঠানে পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘যত দিন যাচ্ছে তাপমাত্রা বাড়ছে। তাই এবার থেকে উন্নয়নের সংজ্ঞাও পাল্টাচ্ছে। বর্তমানে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে উন্নয়ন করতে হয়। তাই সেই দিকটির উপর লক্ষ রেখেই ভারতে ইলেকট্রিক বাহন কেনার ক্ষেত্রে এক নম্বরে এই রাজ্য’।আগামী কিছু দিনের মধ্যেই ই-রিক্সার (E-Rickshaw) রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়া হবে। এই বিষয়ে মন্ত্রী জানিয়েছেন, বেআইনি সংস্থাগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া হবে।

তাছাড়া সংগঠনের সম্পাদক শেখ নাসিরুদ্দিন বলেছেন, ‘আমরা যা বুঝছি মুখ্যমন্ত্রীর শিল্পবান্ধব মানসিকতার সুফল মিলছে। রাজ্যের একাধিক জায়গায় সড়ক সংলগ্নে ছোটো বড় নানান শিল্প তৈরি হচ্ছে। আমাদের তরফ থেকে শুরু করা হয়েছে পরিবেশ বান্ধব ইলেকট্রিক বাহন উৎপাদক সংস্থা। নানান সমস্যা অতিক্রম করে গত দশ বছর আগে নেওয়া এই ক্ষুদ্র উদ্যোগ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্য সরকারের সক্রিয় সহযোগিতায় বর্তমানে এটি বড় চেহারা নিয়েছে’।

e 3

এছাড়া এই বাহনের ফলে বহু মানুষের বেকারত্ব মিটেছে। তাদের একটি নিজস্ব কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। তার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের যাতায়াতের সুবিধাও হয়েছে। শুধু যুবকদের না হাজার হাজার যুবতীদেরও কর্মসংস্থান হয়েছে। বর্তমানে রাজ্যে প্রায় ৪০টি ইলেকট্রিক ভেহিকল উৎপাদনকারী সংস্থা রয়েছে। এবং সাথে রয়েছে চার শতাধিক ডিলার, ডিস্ট্রিবিউটার। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছর এই শিল্প ব্যবস্থার দ্বারা প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। এই ইলেকট্রিক ভেহিকল এখন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পৌঁছেছে। এখানেই শেষ না বিদেশের মাটিতেও পাড়ি দিয়েছে এই ইলেকট্রিক ভেহিকল

সম্পর্কিত খবর